দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার দিঘার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে উদয়পুর যাওয়ার পথে একটি চায়ের দোকানের সামনে কনভয় দাঁড় করিয়ে নেমে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নিজে হাতে চা বানান তিনি। বিষ্যুদবার ওই ঘটনাকে ‘মেলোড্রামা’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, “আপনার এই সাজানো চিত্রনাট্যের মেলোড্রামা, আপনার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচাতে পারবে না।”
টুইট করে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড লেখেন, “বাংলায় গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত। আপনার দলের গুন্ডাদের হাতে ১০০-র বেশি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছে।” পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত বেশি করে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ ভাবমূর্তির পুনর্গঠন করতে চাইছেন, মুকুলবাবুরা তত বেশি করে বোঝাতে চাইছেন, ওটা আসলে মুখোশ। আসল চেহারাটা ‘বিরোধীদের রক্তে হাত লাল’।
Just enacting fake & scripted melodramatic scenes won’t save your CM chair as the reality is that you have brutalised democracy in West Bengal where more than 100 opposition political workers have been killed mercilessly by your goons. https://t.co/h4S0LcPIYp
— Mukul Roy (@MukulR_Official) August 22, 2019
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কৌশল, কখন কেন নেন, তা মুকুল রায়ের থেকে বেশি কে জানে! যেকোনও ঘটনা ঘটলেই মুকুলবাবুর টার্গেট এখন মমতাই। বারবার বলেন, প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
দিঘায় সোমবার বিকেলে পৌঁছনোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল মৈথিল পুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খোশ মেজাজে। তারপর আবার কালকের চা বানানো। মাঝে প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে কড়া ধমক। অনেকের মতে, নেত্রী আসলে বোঝাতে চাইছেন, প্রশাসক হিসেবে তিনি যতটা কড়া, তার বাইরে ততটাই সাধারণ। আর সেই ব্র্যান্ডকেই ধাক্কা দিতে চাইলেন মুকুল রায়।
মুকুলের এই টুইট নিয়ে তৃণমূলের নেতারা বলছেন, বাংলায় বিজেপি-র মুখ নেই। লোকসভা ভোটে একটা বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঠে নামতেই সেই মেঘ দ্রুত কেটে যাচ্ছে। তাতেই বিচলিত বিজেপি। মুকুলের এই টুইট হতাশারই বহিঃপ্রকাশ।