ফের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এনআরএস কাণ্ডের পর নবান্নে বসে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কোনও কিছুই পূরণ হয়নি বলে দাবি তাঁদের। মঙ্গলবার দুপুরে এনআরএস থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের দাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর তা নিয়েই নড়েচড়ে বসল লালবাজার। ১১ জুন এনআরএস-এর চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। আটক করা হয়েছে আরও একজনকে।
এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য, ১৭ জুন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন। বলেছিলেন, হাসপাতালে গেট বসবে, পুলিশ থাকবে, রোগীর সঙ্গে দু’জনের বেশি ঢুকবে না। কিন্তু ৪০ দিন কেটে গেলেও এর কিছুই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রতিটি হাসপাতাল পিছু একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে। সেই কমিটির সাত দিন অন্তর রিভিউ করার কথা, কিন্তু এ সবের কিছুই হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আরও বক্তব্য, ওই দিনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। যে পাঁচ জনকে ধরা হয়েছিল, তারা ছাড়া পেয়ে ঘুরছে। দু’জনকে বলা হয়েছে ‘ইনোসেন্ট।’ তাঁদের প্রশ্ন, জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হলে, কী ভাবে তারা ছাড়া পেল।
ফের মিছিলের ডাক দিতেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার। শনিবার ভবানীভবনে পুলিশ বৈঠক করেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত মিছিলের সিদ্ধান্তে অনড় তাঁরা। গোটা ঘটনায় বিপাকে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। সোমবার সকালেই এনআরএস-এ যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তাঁকেও একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলে খবর।
মিছিলের কথা পুলিশের কানে আসতেই নতুন করে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এখন দেখার মঙ্গলবার কী করেন চিকিৎসকরা। মিছিল আটকাতে কী ভূমিকা নেয় পুলিশ। সব মিলিয়ে চাপে লালবাজার।