“আমার তখন পইতা হইয়াছে। দুই কানে দুই সোনার মাকড়ি, মাথা নেড়া, পায়ে কাশীর জরির জুতা, পরনে গেরুয়া রঙের থান পেড়ে কাপড়, গায়ে গেরুয়া রঙের এক ভাগলপুরী বাপ্তার কোট। তখন আমি বোধহয় ফিফ্থ ক্লাসে পড়ি। স্কুলে যাইয়াই শুনিলাম, ইনস্পেক্টার ভূদেববাবু স্কুল দেখিতে আসিবেন। হেডমাস্টার ছিলেন— বাবু বেণীমাধব দে।
ঠিক বেলা দুইটার সময়, ভূদেববাবু আমাদের ক্লাসে আসিলেন। আমাদের মাস্টার ছিলেন— ঋষিকল্প পার্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়। ইঁহার কথা পরে কোনো সময় বলিব। ভূদেববাবু ক্লাসে আসিয়াই পার্বতীবাবুকে প্রণাম করিলেন। উভয়ে কোলাকুলি হইল। আমি ক্লাসের প্রথম ছেলে। আমাকে দেখিয়া ভূদেব একটু হাসিলেন, বলিলেন, তোমার পইতা হইয়াছে? উত্তরে আমি বলিলাম, “হ্যাঁ। ‘তুমি সন্ধ্যা মুখস্থ করিয়াছ?’ উত্তরে আমি বলিলাম “হ্যাঁ।’ ‘বলো দেখি সন্ধ্যার সেই কথা?’ আমি অমনি বলিলাম—‘মৈনস।’ ভূদেববাবু হাসিলেন। এই সময়ে হেডমাস্টার বেণীবাবু ভুদেববাবুকে বলিলেন- “জিজ্ঞেস করুন তো ওর বাপের নাম কী?” আমি রাগ করিয়া বলিলাম, ‘যা:। কথা এই যে, আমার পিতৃদেবের নাম বেণীমাধব, আমাদের হেডমাস্টারের নামও বেণীমাধব। আমি পিতার নাম বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় বলিলে হেডমাস্টার বেণীবাবু—’একটু ভুল হইয়াছে’ বলিয়া আমাকে লইয়া রঙ্গ করিতেন। ভূদেববাবুও সে রঙ্গের লোভ ছাড়িতে পারেন নাই। আমার মহা রাগ হইল। শেষে ভূদেববাবু কাছে ডাকিয়া আমাকে একটু আদর করিলেন। আমাদের বংশ-পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন।”
এই বর্ণনার মধ্যে যে অন্তরঙ্গ পরিবেশের চিত্র ফুটে উঠেছে তা এযুগে দুর্লভ। পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৬৬-১৯২৩) ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের থেকে একচল্লিশ বছরের ছোটো হলেও ঊনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের অন্যতম প্রতিনিধি। সাহিত্যসেবী সাংবাদিক। পাঁচকড়ির মানস গড়ে উঠেছিল দ্বিতীয়ার্ধের ভাবসংঘর্ষময় যুগপরিবেশের মধ্যে। যুক্তি-নির্ভরতা, হিন্দুত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বদেশপ্রেম ও সমাজকল্যাণ চিন্তা ছিল তাঁর মানস বৈশিষ্ট্য। তাঁর চিন্তাপ্রণালীতে বঙ্কিমচন্দ্র তথা বঙ্গদর্শন যুগের (বৈশাখ ১২৭৯-চৈত্র ১২৮৯) জের লক্ষ্য করা যায়। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় ধারায় উচ্চশিক্ষিত একজন সাহিত্যসেবী ছিলেন। তিনি নিজেই লিখেছেন, “১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দ হইতে ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আমি কলিকাতায় আসিতাম যাইতাম, সাহিত্যচর্চা করিতাম, মাসিক ও সাপ্তাহিকে লিখিতাম…।”সাহিত্য চর্চাই তার কাছে স্বদেশ সেবার অন্যতম উপায়, সমাজ- ভাবনার বাহক ছিল।
তাঁর স্বদেশ ভক্তির পরিচয় প্রবাহিনীর একটি প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে— “দশ দিক্ এমনই ভাবে অন্ধকারময় দেখিয়া কাতরকণ্ঠে ‘মা’ বলিয়া ডাকিলাম। তখন মনে হইল— বটেই তো, আমার ভাষা-জননী আছেন, তিনি আমায় রক্ষা করিবেন, আমার বিশিষ্টতাকে অক্ষুণ্ণ রাখিবেন। ইহাই বাঙালির সাহিত্য সেবার, সাহিত্য সম্মেলনের মূল কারণ।
…আমি বাঙ্গালার বাঙ্গালি। আমার ভাষা, আমার সাহিত্য, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি, জাতির ন্যস্ত ধন। সাহিত্য- সম্মিলন এই ভাবের উদ্বোধন আমাদের মনের মধ্যে করিয়া দিতেছে।
এই ভারতবর্ষের এক একটা অঙ্গ আমরা বাঙ্গালি, পাঞ্জাবী, মাদ্রাজী, সৌরাষ্ট্রীয়, আমরা প্রত্যেকে পুষ্ট এবং সবল হইলে সর্বাঙ্গ পুষ্ট এবং সবল হইবে, ভারতবর্ষের বিরাট সমাজ-শরীরে শক্তি এবং বল সঞ্চারিত হইবে। তাই এস বাঙ্গালি, আজ আমরা ভাষার ও সাহিত্যের সাহায্যে খাঁটি বাঙ্গালি হই, তাহার পর খাঁটি ভারত বাসী হইবার চেষ্টা করিব। সাহিত্য-সম্মিলন আমাদিগকে বাঙ্গালিত্বের উপাদান জোগাইয়া দিতেছে; সাহিত্যসম্মিলন আমাদিগকে ভারতবাসী হইবার প্রশস্ত পথ দেখাইয়া দিতেছে। সাহিত্যসম্মিলনের জয় হউক।”
স্বদেশের মাটিকেই তিনি ‘মা’ বলেছেন। “মাটি, তুমি সত্যই মা-টি। যাহার সর্বস্ব গিয়াছে, তাহার মাটি আছে। তুমি শেষ, তুমি অনন্ত। মা-টি আমার, তুমি স্থির হইয়া আমার ঘরে থাক।…তুমি অন্ন, তুমি প্রাণ, তুমি মান, তুমি ধর্ম, তুমি বাঙ্গলার বাঙ্গালির সর্বস্ব, তুমি আমার ঘরে স্থির হইয়া থাক। তোমায় বার বার নমস্কার করিতেছি।…
এই মাটি হইতেই বাঙ্গলার কার্পাস এবং সেই কার্পাস হইতেই তুঁতের চাষ আর সেই তুঁতে হইতেই রেশমের গুটি এবং বাঙ্গালার পট্টবস্ত্র। এই মাটি হইতেই অন্ন, তার সেই অন্নের জোরেই বঙ্গভূমি ভারতবর্ষের অন্নপূর্ণা।”
তাঁর স্বদেশচিন্তা বিদেশি শাসকের প্রতি উপেক্ষার মধ্য দিয়েও প্রকাশিত হয়েছে— “এতদিন পরে তোমার রোগের অনুভূতি এবং বোধোদয় ঘটিয়াছে, তাই তোমারই ভাষার নন-কো-অপারেশনের ডঙ্কা মারিয়া আমাকে বলিতে হইয়াছে,
‘যা রে বিদেশি বঁধু
আমি তোরে চাই না।’
তুমি করগ্রাহী রাজা আছ, তাহাই থাক; আমি কিস্তি কিস্তি তোমার টেক্স সকল আদায় দিব, তোমার আইন-কানুন মানিয়া চলিব, তোমায় দেখিলে দূর হইতে সভয়ে সাত সেলাম করিব। পরন্তু আর উপযাচিকার ন্যায় তোমার ভজনা করিব না,…
জার্মান যুদ্ধে তোমার ইউরোপকে খুব চিনিয়াছি, পাঞ্জাবী কাণ্ডে—জালিয়ানওয়ালার বীভৎস ব্যাপারে তোমাকেও চিনিতে পারিয়াছে; নৈরাশ্যের মুকুরে আমার সর্বস্বহীন দেশের এবং জাতির ছবি আমি দেখিয়াছি। তাই পণ করিয়াছি, বাঁচি আর মরি, হারি বা পারি, আমরা কৃষ্ণকায় ভারতবাসী—‘ধলা পানে আর চাব না; তাহার প্রেমে আর মজব না; ধলার সঙ্গ আর করব না।’ ইহাই আমাদের নন-কো-অপারেশন, “স্বরাজ-প্রাপ্তির সাধনা অসহযোগের শবসাধনা।”
আবার ইতিবাচক দিকটির প্রতিও পাঁচকড়ির নজর এড়ায়নি। “আজকালকার যুবজন জানেন কি, চুড়ি কিসের নিদর্শন? চুড়ি কো- অপারেশন-এর নিদর্শন। স্পৃশ্য ও অস্পৃশ্য, ধনী ও দরিদ্র, নর-নারী ও এই যুগের মধ্যে কো-অপারেশন ফুটাইবার এবং বজায় রাখিবার চুড়িই একমাত্র চিহ্ন। চুড়ি পরিতে বিক্রেতার জাতিবিচার কেহ করে না। …ওই শুন, পেশাবর হইতে পাবনা পর্যন্ত আর্যাবর্তে রব উঠিয়াছে—“চুড়ি নিবি গো?”
অন্যদিকে স্বদেশের পূজায় তাঁর আহ্বান– “এস এস, ভারতভূমির চারিবর্ণের নর-নারী, ভারতীয় সমাজের ছত্রিশজাতি এবং ছাপান্ন শ্রেণী, এস এস; ভারতবর্ষের সকল প্রদেশের সকল জাতি, তোমাদের নিজ নিকেতনে আবার ফিরিয়া আইস।…শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব প্রত্যাবর্তন করিতেছেন- তোমরা করিবে না কেন?
…তোমাদের প্রত্যাবর্তন করিতেই হইবে। তোমরা পর হইতে পার না, অপরের সহিত মিলিয়া আত্মহারা হইয়া যাইতে পার না। যখন নিজের অতীতকে ভুলিতে পার না, যখন ভারতবর্ষের জলবায়ু ও প্রকৃতির প্রভাব এড়াইতে পার না, যখন ভারতবর্ষের বিশিষ্টতা তোমাদের মেদমজ্জার সহিত প্রথিত, বসার মধ্যে অনুসূত; তখন ইহাই তো প্রত্যাবর্তনের সময়। এই সময় ফিরিয়া এস না?”
পাঁচকড়ি একদিকে যেমন স্বদেশের পূজায় সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যদিকে তেমনি যারা ইউরোপের অনুকরণে দেশাত্মবোধের কথা বলেন, তাদের প্রতি তীব্র কষাঘাত করতেও দ্বিধা করেননি। ‘সম্মেলনের সখ’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন—“সমাজ শরীরে বেদনার বোধ না হইলে, সমাজের ব্যাষ্টিসকল সে বেদনা দূর করিবার জন্য সম্মিলিত হইতে চাহেন না;—হইলেও তেমন সম্মিলনে কোনো ফলোদয় হয় না। একটা কথা মনে রাখিতে হইবে। যে জাতি পরাধীন ও পরাজিত হইয়াছে, সে জাতির সংহতি-শক্তির অপচয় ঘটিয়াছেই, সে জাতির বাস্টি বা ব্যক্তি নিজ নিজ ক্ষুদ্র স্বার্থের চিন্তায় উন্মত্ত আছেই, নহিলে পরাধীনতা ও পরাজয় সে জাতির ভাগ্যে ঘটিত না। আমরা পরাজিত পরাধীন, আমাদের সংহতিশক্তি বিপর্যস্ত, আমাদের সমাজের বহু ব্যক্তিই ক্ষুদ্র স্বার্থের তাড়নায় নিজের নিজের মঙ্গল চিন্তায় ব্যস্ত। আমরা ইচ্ছা করিয়া কখনই সম্মিলিত হইতে চাহিব না— পারিবও না।
…তবু কেন আমরা সম্মিলিত হইতে চাই? ইহা ইংরেজি শিক্ষাজাত এবং ইউরোপীয় সভ্যতার অনুকরণ জন্য সখের গুণ। আমরা ইংরেজি লেখাপড়া আয়ত্ত করিয়া তিনটি নূতন কথা শিখিয়াছি– (ক) পেটুরিয়টিজম বা দেশাত্মবোধ, (খ) একতা বা সর্বজাতিক সমন্বয় এবং (গ) নেশন বা জাতির সৃষ্টি। কথাগুলি লিখিয়াছি বটে, তোতাপাখির মতন তাহার আবৃত্তি করি বটে, কিন্তু ইহার মৰ্ম্ম এবং মহিমা বুঝি নাই। দেশাত্মবোধের কথাটা যাহারা ঘন ঘন বলিয়া থাকে, তাহাদের প্রায় ষোল আনা পুরুষই ইউরোপীয় সভ্যতার অনুচিকীর্ষু…।”
কিন্তু তাই বলে স্বদেশভক্তি এদেশে যে নতুন কোনো ব্যাপার তা নয়। পাঁচকড়ি প্রচলিত ব্যবস্থার মধ্যেই স্বদেশভক্তির ব্যঞ্জনা লক্ষ্য করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘তর্পণ’ বিধির কথা উল্লেখ করেছেন। সুপ্রাচীনকাল থেকে তর্পণ এদেশের জনজীবনে অন্যতম কৃত্য।” …Patriotism-এর এমন প্রগাঢ় বিবৃতি, দেশাত্মবোধের এমন মূলস্পর্শিনী অভিব্যঞ্জন, এমন বিশ্বব্যাপী মহাভাবের বিকাশ— তর্পণ ছাড়া আর কিছুতেই হয় না, হইবার নহে। ..তর্পণে যেমন জাতিবিচার নাই, তেমনই ধর্মবিচার নাই। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর, গাণপত্য, সকল সম্প্রদায়ের প্রত্যেকেই তর্পণ করিতে সমান অধিকারী, সবাই সমানভাবে সাগ্রহে ও স্পর্ধার সহিত তৰ্পণ করিয়া থাকে। ইহা জাতির ধর্ম, National কর্তব্য, যে এই দেশের ভূমিতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে, যে এই দেশের অতীতে শ্লাঘাবোধ করিয়া থাকে, সে-ই তর্পণ করিতে পারে। …এমন মহাভাবপূর্ণ জাতির উদ্বোধনসূত্র সমেত ধর্মকার্য নেই বলিলেও চলে।”
স্বদেশচিন্তার ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবনারই প্রতিফলন লক্ষ্য করি পাঁচকড়ির রচনায়। ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে ‘স্বদেশমন্ত্র’ অংশে স্বামীজী ভারতবাসীকে স্বদেশচেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রার্থনা করেছেন—“মা আমায় মানুষ কর।” পাঁচকড়িও লিখেছেন— “সর্বাগ্রে মানুষ হইতে হইবে। মানুষের মতন মানুষ হইয়া তবে তো অন্যবর্ণের মানুষের সহিত সমকক্ষতা করা চলিবে। ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলমান তোমাদের ছিল তো সব, গেল কেন সব? সব হইয়াছ বলিয়াই তোমাদের সব গিয়াছে। আবার যদি শবত্ব বর্জন করিয়া শিব হইতে পার, “যত্র জীব তত্র শিব” এই বোধে উদ্বুদ্ধ হইতে পার, তবে পূর্বে যেমন মেদিনীমণ্ডলকে লইয়া কন্দুকক্রীড়া করিতে পারিতে, এখনও আবার তেমনই অপূর্ব খেলা খেলিতে পারিবে।”
দুর্গাপূজার মধ্যেও পাঁচকড়ি স্বদেশভাবনা লক্ষ্য করেছেন—“তন্ত্র বলিতেছেন, প্রত্যেক জীবের প্রত্যেক মনুষ্যের দুই জননী।…দ্বিতীয়া দেশমাতৃকা, যে দেশে জনক -জননী পুরুষানুক্রমে বাস করেন, যে দেশের পত্র, পুষ্প, ফল, ক্ষীর, নীর উপভোগ করিয়া জনক-জননীর দেহে রেতাদির পুষ্টি ও সঞ্চয় ঘটে। দেহস্থ আত্মাকে চিনিতে পারিলে দেশস্থ আত্মার পরিচয় পাইবে। …এই হেতু বাঙ্গালির দুর্গোৎসব দেশাত্মমূলক এবং দেশাত্মবোধের পরিচায়ক। ..এই উৎসব করিলে সমাজের নিম্নতম স্তর হইতে উচ্চতম স্তর পর্যন্ত সকলেই উদ্বুদ্ধ হইবে—সকল জাতি, সকল বর্ণ, সকল কারিগর, সকল হুনরী, সকল ব্যবসায়ী, পণ্ডিত, মুখ, ধনী, দরিদ্র, আচণ্ডাল সবাই উদ্বুদ্ধ হইবে। বাঙ্গালির দুর্গোৎসব বাঙ্গালির মহোৎসব।”
‘শ্রীশ্রীজগদ্ধাত্রী পূজা’ প্রবন্ধে স্বাদেশিকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য স্বদেশবাসীর প্রতি তাঁর কাতর আবেদন ধ্বনিত হয়েছে। “শেষে এইটুকু বলিয়া রাখিব যে, জগদ্ধাত্রীপূজা বাঙ্গালির বিশিষ্টতার বিজয় নিশান।…আর কোনও দেশে কোনও শাক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে এ পূজা, এমন সাধনা প্রচলিত নাই। ইহা বাঙ্গালার নিজস্ব, বাঙ্গালির নিজস্ব। অথচ তন্ত্র বলিতেছেন যে, এই দেবী এবং ইহার বীজমন্ত্র অতি পুরাতন এবং সনাতন। হায় বাঙ্গালি! ইউরোপের ছাইভস্মে এখনও মুগ্ধ হইয়া আছ, একবার নিজের দিকে তাকাও না— দেশ, সমাজ ও জাতিকে চিনিবার চেষ্টা কর না? তোমার জীবন সার্থক হইবে।”
বিজয় আঢ্য