১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। সোমবার এই মামলার শুনানিতে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতের কাছে জানানো হয় যাতে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। কারণ হিসেবে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাক্তন পুলিশ সুপার মির্জা যদি জামিন পান তাহলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন কারণ তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং সেই কারনেই তাকে জেল হেফাজতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।
যদিও মির্জার আইনজীবী আদালতে মির্জার জামিনের আবেদন জানান। তাঁরা জানিয়েছেন মির্জা এখন সাসপেনশন রয়েছেন এবং সিবিআইকে নারদা কান্ড সবরকম সহযোগিতা করছেন তাই তাকে জেলে না পাঠিয়ে জামিন দেওয়া হোক।
ইতিমধ্যেই মির্জা ও মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। মির্জাকে নিয়ে রবিবার সকালে মুকুল রায়ের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে আসে সিবিআই এর একটি টিম। সেই টিমে রয়েছেন নারদার তদন্তকারী অফিসার রনজিত কুমারসহ ১২ জন অফিসার। প্রায় ১ ঘন্টা সিবিআই অফিসাররা মুকুলের ফ্ল্যাটে ছিলেন।
মির্জার কথা অনুযায়ী পুরো ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তিনি কোন পথে তার বাড়িতে ঢুকেছিলেন? কোথায় বসে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে? সমস্তটাই ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। সেটা হয়েছে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতিতেই।
গত শনিবার নারদকাণ্ডে মুকুল ও এসএমএইচ মির্জাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সিবিআই। নারদ ভিডিয়োয় মির্জাকে প্রচুর টাকা নিতে দেখা গিয়েছে মির্জাকে । এদিন তিনি জানান , যা করেছেন, যত টাকা নিয়েছেন সবই মুকুল রায়ের নির্দেশে।
জেরাপর্বের শেষে নিজাম প্যালেসের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুকুল রায় জানান ,”বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতার নির্দেশ দেন। আমি বলি, তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করা সুনাগরিকের কাজ। যতবার ডাকবে সহযোগিতা করব। আজ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আবার প্রয়োজন হলে ডাকবে। আমি সহযোগিতা করবই৷