ফের একবার জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলীর উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তহবিলে ব্যাপক অঙ্কের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘দুর্নীতির আখড়া’য় পরিণত হয়েছে জিটিএ। জিটিএ-র কাজকর্মের যাবতীয় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করার কথা বলেছেন তিনি।
রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ অব্যাহত। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং সাংবিধানিক প্রধান, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। হাওড়া পুর বিল নিয়ে তা চরমে পৌঁছেছে। এবার সেই দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল জিটিএ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটারে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিটিএ-তে একেবারে গড়বড়ে অবস্থা। জিটিএ গঠনের পর এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ক্যাগ অডিট হয়নি। জিটিএ আইন, ২০১১ এর ৫৫(১০) ধারা অনুযায়ী, জিটিএ-র কার্যকলাপের কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও লিখেছেন, “জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলী ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জিটিএ আইনের ৫৫ (১০) ধারা অনুযায়ী সমস্ত কাজের আপডেট এবং রিপোর্ট জমা করতে হবে।” সেইসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্য, পূর্বের জিটিএ বোর্ড এবং বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর ভূমিকায় যথেষ্টই হতাশ। জিটিএ-র তহবিল অপব্যবহারে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, জিটিএ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জিটিএ নিয়ে এর আগেও টুইটারে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য ছিল, জিটিএ নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে। কোটি কোটি টাকা আর্থিক গরমিলের অভিযোগ এসেছে। কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। সিএজি দিয়ে জিটিএ’র অডিট করানো হবে বলেও বলেছিলেন রাজ্যপাল।