রাজ্য ও রাজ্যের বেনজির সংঘাত আরো একবার | যাদবপুরের সমাবর্তনে আচার্য হাজির থাকবেন সেটিই রীতি | কিন্তু সেই রীতি ভেঙে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস রবিবার আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে একটি চিঠি দেন | তাতে তিনি লেখেন,এক্সেকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বারদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত, যে সমাবর্তনে আচার্য হাজির না থাকাই শ্রেয় |কারণ সেখানকার ছাত্র সংসদ তার উপস্থিতি চায়না |
এরপরই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর | তিনি বলেন , যাদবপুরের উপাচার্যের এই চিঠি ও সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক | তিনি লেখেন,মন্দিরসম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করতে তিনি চেষ্টা করে যাবেন |
যাতে পড়তে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তাদের বিকশিত করার সমযোগ পায় | রবিবার এই চিঠির কথা সামনে আসতেই তা নিয়ে রাজ্যপাল তার প্রতিক্রিয়া দেন | রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির রাজনীতিকরণের তীব্র নিন্দা শোনা যায় তার গলায় |
তবে এই চিঠির পরেও তিনি জোর করে সেই সমাবর্তনে হাজির থাকতে চাইলে তার ফল ভালো হবেনা বলে একপ্রকার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রেখেছে যাদবপুরের ছাত্র এসআফআই ছাত্র সংসদ | তারা একটি লিখিত বিবৃতিতে বলে,আচার্য জোর করে নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব খাটাতে চাইলে তা প্রতিষ্ঠান ও তার জন্য খুুব সুখকর হবে না |
রবিবারের এই বিবৃতির পর সোমবার সকালে করা রাজ্যপালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ছন্দে রাখার ট্যুইট নিঃসন্দেহে আরেকবার বেনজির সংঘাতের সাক্ষী হতে চলেছে রাজ্যবাসী,তা মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা | প্রসঙ্গত এই যাদবপুরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়োকে ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে রক্ষা করতে রাজ্যকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে সরাসরি হাজির হওয়ায় রাজ্যের ও ছাত্রদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল |