কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন জগদীপ ধানকার। শনিবার দুপুরে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে তা ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপাল বদল করেছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কে এই জগদীপ ধানকার? তাঁর পরিচয় কী?
নবম লোকসভায় রাজস্থানে ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন জগদীপ। কেন্দ্রে স্বল্প সময়ের জন্য মন্ত্রীও ছিলেন। তা ছাড়া তাঁর অন্য পরিচয়ও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেছেন এই আইনজীবী। তা ছাড়া পোড় খাওয়া এই আইনজীবী আইসিসি-র আন্তর্জাতিক আর্বিট্রেশন আদালতেরও সদস্য।
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর পরই বাংলার রাজ্যপাল পরিবর্তন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এম কে নারায়ণকে সরিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করেছিলেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল পদে কেশরীনাথের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হতে আর চার দিন বাকি। তা ছাড়া তাঁর প্রায় ৮৫ বছর বয়সও হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এক জন বর্ষীয়াণ আইনজীবীকে বাংলার রাজভবনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী।
এক সময়ে রাজস্থানে জনতা দলের নেতা ছিলেন ধানকর। পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তার পর ২০০৩ সালে রাজস্থানে হাওয়া ঘোরার সম্ভাবনা দেখে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন ধানকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ধানকারকে বাংলার রাজ্যপাল পদে বসানোর নেপথ্যে মোদী-শাহ জুটির সুচিন্তিত কৌশল থাকতে পারে। লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। তার পর থেকে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। শুধু তা নয়, দল বদল, পুরসভা দখল ইত্যাদি নানা ঘটনা নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। ফলে এমন একজনকে রাজ্যপাল করা হল যাঁর সংবিধান ও আইন সম্পর্কে সম্যক ধারনা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি রাজ্যপাল বদল করা হয়েছে ত্রিপুরাতেও। কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কিকে সরিয়ে ত্রিপুরার নতুন রাজ্যপাল করা হয়েছে রমেশ ব্যসকে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন পটেলকে পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজভবনে। বিহারের রাজ্যপাল লালজি টন্ডনকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিহারে রাজ্যপাল করা হয়েছে ফাগু চৌহানকে। এ ছাড়া নাগল্যান্ডে রাজ্যপাল করা হয়েছে আর এন রবি-কে।