রোহিঙ্গা মানেই সন্ত্রাসবাদী নয় | আর কেউ জায়গা না দিক পশ্চিমবঙ্গে তারা নিরাপদ থাকবে | এমন দাবি আগে করেছেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় | ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপরি নেতৃত্ব |
তাঁরা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ট্র্যাক রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে নানা অপরাধ জগতে তাদের অবাধ বিচরণ | তাই তাদের বিশ্বাস করা ভুল হবে | রোহিঙ্গাদের ভারতে ঠাঁই না দেওয়ার পিছনে এটিও অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ | ভারতীয় গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক ছানবিনে তেমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল | তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সীমান্তর রক্ষা বাহিনী ও সশস্ত্র সীমাবলের জওয়ানদের সতর্ক করা হল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য |
সূত্রের খবর,পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ৪০জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদিনের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে| বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তেকে ব্যবহার করে নাশকতার জাল বিছাতে চাইছে পাকিস্তান|আর তার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ এই জঙ্গী সংগঠনকে দিচ্ছে আইএসআই | বাংলাদেশের কক্স বাজার এলাকায় এরা থাকছে বলেও জানতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা | পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের জম্মু-কাশ্মীরের এলওসি পেরিয়ে ভারতে ঢোকা মুশকিল হয়ে পড়ায় ,তারা বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের সীমানাকে ব্যবহার করতে চাইছে বলে খবর |
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন জঙ্গী সংগঠনকে পাকিস্তান প্রত্যক্ষ ভাবে এই প্রথম আর্থিক সহায়তা দিল | সৌদি আরবিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে মূলতঃ এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে পাকিস্তানের আইএসাই বা সেনাবাহিনী |
ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবি-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যুক্ত ১২৫জন লিঙ্কম্যান ভারতের নানা রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিমধ্যেই | যেসকল রাজ্যে তারা কাজের সূত্রে ছদ্মবেশে বসবাস করছে সেগুলি বেশিরভাগই পূর্ব ভারতের রাজ্য বলে জানা গিয়েছে | বিহার,ঝাড়খন্ডের মত সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলি অন্যতম | এনআইএ চিফ মোদি বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০০৭সালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় জেেমবি কাজ শুরু করলেও ক্রণাটকের বেঙ্গালুরুকে ঘাঁটি করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে জেওমবি বর্তমানে জাল বিস্তার করতে চাইছে |মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কর্ণাটকের বৌদ্ধ বিহারে রকেট হামলা চালায় বলে জানান এনআইএ চিফ |