যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত একদল মানুষ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে চিঠি দিয়েছেন। ‘বেঙ্গল ইন্টেলেকচুয়াল সোসাইটি’ নামের এই সংগঠনের তরফ থেকে চিঠি রাজপালকে দেওয়া হয়েছে।
এই সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক রাধারমণ চক্রবর্তী জানান, সেদিন যাদবপুরে যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে সমাদৃত। কিন্তু সেদিন উপাচার্য যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তা মেনে নেওয়া যায় না।”
রাধারমণবাবু আরো জানান, রাজ্যপাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি অভিভাবকের মতো।
তিনি বলেন, “আমিও একসময় উপাচার্য ছিলাম। যদিও কখনও রাজ্য পাল আমাকে নির্দেশ দেননি। কিন্তু এক্ষেত্রে দিয়েছেন। তিনি পুলিশ ডাকতে বলেছিলেন। কিন্তু উপাচার্য তা মানেন নি। বদলে দরকার হলে পদত্যাগ করবেন বলে একটি নৈতিক অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে তিনি সমস্ত শিক্ষকদের নিয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারতেন। ছাত্রদের বোঝাতে পারতেন।”
রাধারমণবাবুর মতে যাদবপুরের উপাচার্য শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হলে সমস্ত শিক্ষকের নিয়ে গিয়ে ছাত্রদের বোঝাতেন, বিশ্ব বিদ্যালয়ে এটা করা যায় না। রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদেরও সুযোগ দিতে হয়। এই সংগঠনের সদস্য অগ্নিমিত্রা পাল নিজেই বক্তা হিসাবে যাদবপুরে এবিভিপি-র ডাকা ওই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। তাঁকে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। এর মাঝেই অভিযুক্ত নিগ্রহকারী কয়েকজন ছাত্রছাত্রী দাবি করেন, অগ্নিমিত্রা পালের ‘বাউন্সার’ বা দেহরক্ষীরা তাঁদের মেরেছে। অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, এই দাবি ভিত্তিহীন। মিথ্যা। তাঁর নিজের কোনও দেহরক্ষী নেই। পার্টি থেকেও তাঁকে কোনও দেহরক্ষী দেওয়া হয়নি। যদিও মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দেহরক্ষী রয়েছে।
এদিন অগ্নিমিত্রা যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ জানান। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ফেসবুকে অগ্নিমিত্রার উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।