পশ্চিমবঙ্গের তথ্য কমিশনে তিনজন তথ্য কমিশনারের পদ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি পদে আধিকারিক থাকলেও একটি পদ ফাঁকা। এই তিনজন তথ্য কমিশনার ছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আরও তিনজন তথ্য কমিশনার নিয়োগ করতে বলেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তার কোনটাই করেনি। ফলে তিন সপ্তাহের মধ্যে তথ্য কমিশনার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য জমা না দিলে জরিমানা ও সমন পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের খালি থাকা তথ্য কমিশনারের পদ পূরণ সহ আরও তিনটি তথ্য কমিশনার নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সেব্যপারে কিছুই করেনি। এমনকি শূন্যপদ কবে পূরণ হবে সে বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে কোনো জবাবও দেয়নি। ফলে তথ্য কমিশনের শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া নিয়ে নবান্ন রিপোর্ট জমা না করলে রাজ্যকে জরিমানা করা হবে ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে সমন পাঠানো হতে পারে বলে আজ রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্ট সব রাজ্যকে সমস্ত তথ্য কমিশনার পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সহ অধিকাংশ রাজ্যে এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যই শূন্য পদ পূরণের প্রক্রিয়া কতখানি অগ্রগতি হয়েছে সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে কোনো রিপোর্ট দেয়নি।
আজ বিচারপতি আবদুল নাজিরের বেঞ্চ এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের নির্দেশ অমান্যের জন্য কড়া ব্যবস্থা হুঁশিয়ারি দেন। তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে। তার মধ্যে সব রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
তথ্যের অধিকার আন্দোলনকারী অঞ্জলি ভরদ্বাজ সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে মামলা করছেন । তার বক্তব্য ২০১৯-র ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তিনটি অতিরিক্ত তথ্য কমিশনারের পদ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। অথচ বর্তমানে তিনটি অনুমোদিত পদে একজন মুখ্য তথ্য কমিশনার ও একজন তথ্য কমিশনার রয়েছেন। একটি পদ খালি পড়ে রয়েছে। অথচ কমিশনের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে ১০ হাজার আবেদন ও অভিযোগ পরে রয়েছে। শীর্ষ আদালত এই কারণেই রাজ্যকে আজ সতর্ক করেছে।