শহর কলকাতার করোনা (Coronavirus) সংক্রমণে উৎস খুঁজতে গিয়ে নজরে বহুতল আবাসনগুলি। এখানকার বাসিন্দারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন। আগেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আবাসন এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে ব্যারিকেডও দেওয়া হয়েছে। এবার তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, ”আবাসনগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সেদিকে নজর দিতে হবে।”
এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি আরও ঘোষণা করেন, নতুন এক COVID হাসপাতাল পাচ্ছে শহর কলকাতা। শিয়ালদহ স্টেশন লাগোয়া এপিসি রোডের উপর সরকারি হাসপাতাল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজকে পুরোপুরি COVID হাসপাতালে বদলে ফেলা হচ্ছে। এখানকার উন্নত পরিকাঠামো, প্রশস্ত জায়গা, শয্যা সংখ্যা – সবমিলিয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য এখানে উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন জারি করেও বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি। বিশেষত কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে হানা দিচ্ছে এই জীবাণু। বাড়ছে রোগীর চাপও। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা নয়, কো-মরবিডিটিতে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৮২ শতাংশ মানুষের। এছাড়া উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের জন্য আরও দুটি ‘সেফ হোম’ চালুর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কসবার কিশোর ভারতীয় স্টেডিয়ামে তৈরি হতে চলেছে ‘সেফ হোম’।
সংক্রমণ রুখতে স্যানিটাইজেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেকথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”সপ্তাহে একদিন সরকারি অফিসগুলো ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে দপ্তরগুলোয়।” বেসরকারি অফিসগুলিকেও ভালভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।