করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপাদাপি আর তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মাঝে সাময়িক স্বস্তি দিচ্ছে দেশের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান। একটা সময় যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল, সেখানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারের নিচে। নিম্নমুখী গ্রাফই বলে দিচ্ছে লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধ মেনে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যাটিং করছে ভারতবাসী। গতকালের তুলনায় আজ ফের কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ হাজার ৭১ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের চেয়ে ২ শতাংশ কম। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, বাংলা-সহ বেশিরভাগ রাজ্যে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৩৩। তবে গতকালের থেকে ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল মৃত্যু। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫৫ জন।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হল ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫০ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ২৯৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৫ কোটি ১২ লক্ষের বেশি। টিকারণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকালে দেশে ১৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশবাসী। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যেতে পারে অক্টোবর-নভেম্বরে। তা সত্ত্বেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। তবে করোনা যদি নিজেকে আরও মিউটেড করে, তাহলে তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর গতি আরও বাড়বে বলেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।