করোনা সংক্রমণ রোধে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু তা সত্ত্বেও লাগাম টানা যাচ্ছে না। পরপর কয়েকদিন যাবৎ ২ লক্ষের বেশিই রয়েছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। যদিও রবিবারের তুলনায় সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা একটু হলেও কমল।
স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ২১ হাজার ৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জনে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৯৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৬১ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৮২। করোনাকে ঠেকাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে দেশের ১২ কোটি ৭১ লক্ষ ২৯ হাজার ১১৩ জনকে। মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কম। করোনার এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে এটুকুই যা সাময়িক স্বস্তি।
সোমবারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোরোনায় বলি হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জন। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯ জন। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯ জন।
এদিকে, মে থেকে ১৮ বছর হলেই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এখন ৪৫ ঊর্ধ্বদের জন্য করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সারা দেশে চালু আছে। এখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার জেরে দেশের করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনকে। এর ফলে আবার দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তাই সেই জায়গা থেকে ১৮ বছর হলেই করোনার টিকা দেওয়ার এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কেননা ভারতে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনও বয়সকেই ছাড়ছে না। তাই এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা।