দেশ থেকে রেমডেসিভির ইনজেকশন এবং এর কাঁচামালের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এই মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যতদিন না এই পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে অর্থাৎ সংক্রমণে লাগাম পরানো যাচ্ছে ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
সরকারি নির্দেশিকায় লেখা আছে যে, বর্তমানে দেশের করোনা সংক্রমণ দেড় লক্ষ পার করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহূত রেমডেসিভির ইনজেকশনের চাহিদা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দিনে এই চাহিদা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।সুতরাং দেশের হাসপাতালগুলোর চাহিদার দিকে নজর রেখে রেমডেসিভির ইনজেকশন এবং এর কাঁচামালের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
ভারতের সাতটি সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়েড সায়েন্সেসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রেমডেসিভির তৈরী করছে। তাদের প্রতিমাসে প্রায় ৩৮.৮০ লক্ষ ইউনিট তৈরী করার ক্ষমতা রয়েছে।আরও বেশি মানুষ যাতে রেমডেসিভির পেতে পারে তার জন্য সরকার রেমডেসিভির উত্পাদনকারী সংস্থাগুলোকে তাদের স্টকস্ট এবং বিতরণকারীর বিশদ তাদের ওয়েবসাইটে দেখানোর নির্দেশিকা জারি করেছে।
ড্রাগ ইন্সপেক্টর এবং অন্যান্য অফিসারদের স্টক যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া কোন ত্রুটি থাকলে তা পরীক্ষা করতে এবং কালো বাজারি বন্ধ করতে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতেই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেমডেসিভিরের অভাব সংক্রান্ত অভিযোগ আসতে থাকে। কেননা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, যেসব রোগীর পরিস্থিতি জটিল, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ। এই ওষুধের স্বল্পতার কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ হয়। কোনও কোনও জায়গায় আবার ওষুধ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও ওঠে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৯০ হাজার ৫৮৪ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৫ জন।আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার এখনও অনেকটাই কম।