সোমবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১ জন। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষন টিকল না।২৪ ঘন্টার মধ্যে এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন বেড়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬। এমনকি এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। তবে রাজ্যের প্রথম ৩ করোনা আক্রান্তকে সপ্তাহদুয়েক পরে মঙ্গলবার ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, আপাতত এটাই চিকিৎসকদের কাছে সুসংবাদ।
সোমবার বিকেলে হাওড়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৪৮ বছর বয়সী এক করোনা(corona) আক্রান্ত ব্যক্তির। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন, এই রিপোর্ট আসে তাঁর মৃত্যুর পরে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার এই মৃতা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন। রবিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়ায় সোমবার আইসিইউতে রাখা হয় এবং সোমবারই তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য নেওয়ার পরেই বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে তার লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ প্রসঙ্গত রবিবার রাতে ভর্তি হওয়ার পর এনআরএস হাসপাতালে সোমবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তবে তার লালা রসের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে হাওড়ার এই মৃতা ছাড়াও রাজ্যে আরও নতুন ৩ করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যারা জীবিত রয়েছেন। ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে। এর মধ্যে ২৩ জন জীবিত এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
মৃতা ছাড়া নতুন তিন আক্রান্ত কারা? জানা গিয়েছে, এদের একজন টালিগঞ্জের বাসিন্দা ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি৷ আরেক জন করোনা আক্রান্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা, তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। আরেক আক্রান্ত সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের সকলেরই লালারসের রিপোর্ট রবিবার রাতে করোনা পজিটিভ এসেছে।
এদিকে এর মধ্যেও এই প্রথম সাময়িক স্বস্তিও পেয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, ২ দিন আগে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলার পুত্র, দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত লন্ডন ফেরত যুবকের বাবা এবং তৃতীয় করোনা আক্রান্ত স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার তরুণীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। সোমবার দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আক্রান্ত প্রথম তিনজনের৷ তাই মঙ্গলবারই তিন জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ছাড়া পাওয়ার পর আবশ্যিক ১৪ দিনের গৃহ পর্যবেক্ষণ বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।