অবশেষে দুদিন পর শনিবার রাতে করোনা (Corona) সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর। ৩০ এপ্রিল রাত থেকে ২ মে বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭ জন। এদিকে ৪৮ ঘন্টা মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। দুদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৬০ জন।বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কেন্দ্রকে দেওয়া এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩১। কিন্তু মুখ্যসচিবের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭২। এরপরে স্বাস্থ্য সচিব ও মুখ্য সচিবের দেওয়া পরিসংখ্যানের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও পরে স্বাস্থ্য সচিবের তরফে জানানো হয়েছিল পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানটি ভুল তার বদলে নতুন পরিসংখ্যান দেওয়া হবে।
গত একমাস যাবত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো রোজ বিকেল বেলা গত চব্বিশ ঘন্টার করোনা সংক্রান্ত তথ্য সাংবাদিকদের জানাতেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha)। কোনদিন মুখ্যসচিব না জানালেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বুলেটিন জারি করে জানানো হত সেই তথ্য। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সেই তথ্য না দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব ও মুখ্য সচিবের দেওয়া তথ্যের বিস্তর ফারাক নিয়েও কথা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এরপর শনিবার রাত নটা নাগাদ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পৃথকভাবে দুটি আলাদা বুলেটিন জারি করা হয়। পয়লা মের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৩০ এপ্রিল বিকেল থেকে পয়লা মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন। ওই ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এদিকে ওই দিন ছুটি হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ৮ জন। অন্যদিকে, ২ মে-র বুলেটিন অনুযায়ী শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের আরও ৭০ জন মানুষ। শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৭ জন রোগী। তবে এদিন আরও ৪৫ জন করোনা পজিটিভ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এই দুদিনের বুলেটিনে কোথাও রাজ্যে মোট সক্রিয় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতরের ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৩০ এপ্রিল রাজ্যে ২০৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর শুক্রবার ১ মে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪১০ জনের। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ২০,৯৭৬ জন মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বুলেটিনেই বলা হয়েছে, রাজ্যে এখন আইসিএমআর-এর অনুমোদিত ল্যাব রয়েছে ১৬ টি।