একদিনে ৪৪০ বেড়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৬৮ : স্বাস্থ্য দফতর

এনআরএস (NRS) থেকে গোপনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ পাচার করা হচ্ছে৷ এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর ও এনআরএস কর্তৃপক্ষ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর এনআরএস অধ্যক্ষ জানালেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো৷ ওই ফেক ভিডিয়োর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে লালবাজারে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ দায়ের করা হয়েছে এফআইআর৷

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ও বেওয়ারিশ মৃতদেহ৷ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতদের কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ও দাবিদারহীন মৃতদেহ। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ছিল ১৪টি মৃতদেহ। দাবিদার না মেলায় নিয়ম মতো, ১৫ দিন পর সেগুলি সৎকারের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, গত ২৯ মে একটি নির্দেশিকা জারি হয়। সেখানে বলা হয় দাবিদারহীন মৃতদেহগুলি গড়িয়া মহাশ্মশানে সৎকার করা হবে৷ অভিযোগ,পরপর ১১টি পচাগলা দেহ মর্গ থেকে বের করে একটি কালো গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া ওই মর্গ এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ওই ভিডিয়োটিতে বলা হয়েছে, নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েই এই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর তারপরই গোপনে দেহ পাচার করছে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, হাসপাতাল সুপার, আধিকারিকরা মর্গ পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন ভিডিয়োটি

পাশাপাশি খতিয়ে দেখেন মর্গের কাগজপত্রও। তারপরই তাঁরা জানান যে, ভিডিয়োটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। ওই ১১টি দেহ বেওয়ারিশ লাশ। যাঁদের নাম, ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে সেগুলি পরে কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয় শেষকৃত্যের জন্য। এক্ষেত্রেও তেমনই করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.