আবার নতুন করে জেলায় পাঁচ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর মেলায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে। পাঁচজনের আক্রান্তের মধ্যে ৪ জন হলদিয়া মহাকুমার (Haldia subdivision) এবং একজন মেচেদার (Mecheda)। হলদিয়ার আক্রান্তরা নিজামউদ্দিন (Nizamuddin) ফেরতদের সংস্পর্শে এসেছিল বলে জানা গেছে।
প্রথম দফায় জেলায় কোভিড ১৯ আক্রান্তরা অধিকাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কয়েকদিন আগে। কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছিল জেলাবাসী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। সবাই আশা করেছিলেন আর নতুন করে আক্রান্ত না হলে রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে পৌঁছাবে জেলা। কিন্তু লকডাউন মাত্র আর দশ দিন বাকি, এর মধ্যেই আবার নতুন করে পাঁচজন আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
এই ৫জন ছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও কয়েকজন। তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ২১ তারিখে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রাতে তাদের মধ্যে চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে (Panskura Barma Hospital) করোনা চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্তদের এলাকাগুলি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। প্রশাসনিক কর্তারা আজ এলাকায় যান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর এই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে মেচেদা স্টেশনে কর্মরত এক আরপিএফ জওয়ানের মধ্যেও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। এক্ষেত্রেও ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। জানা গেছে তিনি অফিসের কাজে দিল্লি (Delhi) গিয়েছিলেন।