কাজে আসছে রাজ্যে জারি করা বিধিনিষেধ। অনেকটাই নেমে এল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। গত মাসের প্রথম থেকে যেভাবে চওড়া হচ্ছিল মারণ ভাইরাস করোনার( Corona) থাবা। তা কিছুটা হলেও এখন নিয়ন্ত্রণে। সোমবার রাজ্যের করোনার দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় নেমে এল ৬ হাজারের নিচে। স্বস্তি দিয়ে কমছে মৃত্যু সংখ্যা। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.৯৮ শতাংশ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে একদিনে মারণ ভাইরাস করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮৮৭ জন। তারমধ্যে শুধু মাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 PGS) আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে সেই উত্তর ২৪ পরগনা। তবে আগেরদিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত দিন একদিনে সংক্রমিত হয়েছিল ১ হাজার ৪৩৪ জন। তারপরেই রয়েছে তিলোত্তমা। স্বস্তি দিয়ে কমছে কলকাতার (Kolkata) সংক্রমণ। সেখানে ৬১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে হুগলি। সেখানে একদিনে সংক্রমিত হয়েছে ৪৫১ জন। তারপরেই হাওড়া । একদিনে ৩৬১ জন সংক্রমিত হয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই জেলা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনাগ্রাফও বেশ খানিকটা নিম্নমুখী। তবে ভয় ধরাচ্ছে দার্জিলিং। সেখানে সংক্রমিত ৩৩৫ জন। কোচবিহারে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ২৩৭জন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩২ হাজার ০১৯ জন। স্বাস্থ্য দফতরকে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার সংখ্যা। একদিনে করোনাকে জয় করে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৩৫২ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জন। যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কম। শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় মারা গিয়েছে ৩২ জন। কলকাতায় করোনার বলি হয়েছে ২৩ জন। তারপরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি। সেখানে মারা গিয়েছেন ১০ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬ হাজার ৩৬২ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৯৮ শতাংশ।
অপরদিকে করোনার টিকাকরণ (Corona vaccine) নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার থেকে টিকাকরণের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে আর কোনও অর্থ ব্যয় করতে হবে না। ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে ভারত সরকার।