‘একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে চলেছে’, আশাবাদী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার কলকাতা ২৪x৭-কে এক্সক্লুসিভ ভাবে এমনই জানিয়েছেন যোগী।
একইভাবে গত ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেওয়ার সময় ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তোলা নিয়েও সরব হয়েছেন যোগী। তাঁর কথায়, ‘‘জয় শ্রী রাম হল সম্বোধনের ভাষা, আমরা এটা কারোর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি না।’’
একুশের নির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে। একদিকে, ‘উন্নয়ন’-কে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সচেষ্ট শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজ্য-সফরে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
জেলায়-জেলায় কর্মিসভা করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজ করছেন তাঁরা। প্রকাশ্য সভাতেও হাজির থাকছেন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। দিল্লি ফিরে গিয়ে বাংলায় দলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিচ্ছেন তাঁরা। সেই মতো দিল্লি বসে বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঘুটি সাজাচ্ছেন মোদী-শাহরা।
রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ের মঞ্চে রয়েছে বাম-কংগ্রেসও। জোট করে নির্বাচনী ময়দানে দু’পক্ষ। একইভাবে ওয়েইসির মিমও এবার বাংলার নির্বাচনে লড়াই করবে বলে জানা গিয়েছে। আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারে মিম।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বাংলা ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বলে আশাবাদী শাহ-নাড্ডারা।
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে বাংলায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করছেন তাঁরা। এবার যোগী আদিত্যনাথও একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপিই সরকার গড়ার দায়িত্ব পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এদিন জানিয়েছেন, দল নির্দেশ দিলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রচারেও যাবেন।