করোনায় (COVID-19) বিপর্যস্ত গোটাদেশ। মহামারী (Pandemic in India) মোকাবিলায় প্রথম দিন থেকেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত এক করে অক্লান্ত ভাবে খেটে চলেছেন দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা (Frontline Warriors)। নিজের আর পরিবারের কথা না ভেবে সংক্রমণের ভয় এড়িয়ে করোনায় যমে-মানুষে টানাটানির লড়াইয়ে অসহায় রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর তাঁরা।
কিন্তু দিনশেষে তাঁদের কপালেই জুটছে মারধোর, অশ্রাব্য গালিগালাজের মতো ঘটনা। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডাক্তারদের উপর হামলায় ঘটনা বহুবার সামনে এসেছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গেলেও রোগীর প্রাণ না বাঁচাতে পারলে জুটছে মার। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। ‘ডাক্তারের গায়ে হাত তোলা’ এর বিরুদ্ধে বহুবার প্রতিবাদ করেও মেলেনি সুরাহা। এবার দেশের সমস্ত চিকিৎসকদের হয়ে আসরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।
জানা গিয়েছে, বুধবার আইএমএ-এর তরফে একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) অমিত শাহের ( Amit Shah) কাছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত, অভিন্ন ও কার্যকর আইন অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে (approve a comprehensive, uniform and effective law against healthcare violence)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে আইএমএ-এর তরফে বলা হয়েছে , “স্বাস্থ্যসেবা সহিংসতার বিরুদ্ধে ভারতের একটি বিস্তৃত, অভিন্ন ও কার্যকর আইন দরকার। আমরা আপনাকে স্বাস্থ্যসেবা সহিংসতার বিরুদ্ধে কার্যকর এবং শক্তিশালী আইন আনার জন্য এবং তা অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করছি।”
চিঠিতে আইএমএ- তরফে জানানো হয়েছে যে, বছরের পর বছর ধরে বিরামহীন ভাবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীর বাড়ির লোকের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন এই ডাক্তাররা। যেটা বন্ধ হওয়া জরুরি। এর বিরুদ্ধে এখন থেকেই যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ হারাবে নবীন প্রজন্মের পড়ুয়ারা। তাই এখনই দরকার এর জন্য একটি আইন প্রনয়নের এবং তা কার্যকরী করার।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আসামের হোজাই (Hojai distric in Assam) জেলায় এক করোনা আক্রান্ত রোগীর (Covid patients) মৃত্যুর পর তার বাড়ির লোকের কাছে আক্রমণের শিকার হন চিকিৎসক। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে আইএমএ। এরপরই বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়ে নয়া আইন আনার অনুরোধ করা হয়।