মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে চলছে তাণ্ডব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে। তাঁদের বলা হচ্ছে, “তোরা বিজেপি করিস। অনেক দিন ধরেই তোদের টার্গেট করছিলাম মাথা কেটে নেবো।” স্বাভাবিকভাবেই এই হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। রাতভোর দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়াল উত্তর ২৪ পরগনার পলতা এলাকায়।
তৃণমূল কর্মী সত্য নারায়ন ভট্টাচার্য্য বলেন,”আমি দীর্ঘ দিনের তৃণমূল কর্মী এলাকার মানুষ সকলেই আমাকে চেনে। আমি যখন বাইরে গেট আটকাতে যাই তখন ৫/৬ জন দুষ্কৃতী ধরে ফেলে। আমাকে বোমা দেখিয়ে বলে তুই বিজেপি করিস? তোর বাড়িতে বোম মারবো। এই বলেই আমার হাতের সোনার আংটি খুলে নেয়। ঘরে ঢুকে স্ত্রীর সোনার চেন, মেয়ের কানের দুল টেনে ছিড়ে নেয়। আমাকে ঘুষি মারে। একই ঘটনা ঘটেছে আসে পাশের প্রতিবেশীদের বাড়িতেও।”
পাঁচ-ছ্য় জনের দুষ্কৃতীদল পলতার নেতাজী পল্লীতে হানা দেয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ তিন অভিযুক্ত কে আটক করে।
এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান উত্তর বারাকপুর পৌরসভার উপ পুরপ্রধান পারমিতা বাসু। পারমিতা দেবী বলেন, “যে ভাবে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলা হয়েছে তুই বিজেপি করিস তোকে মারবো এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের কেউ ঘটায় নি তৃণমূল কর্মী দের বাড়িতেও এই একই কথা বলে হামলা হয়েছে। এই কান্ড যারা ঘটিয়েছে তারা দুষ্কৃতকারী তৃণমূল কে বদনাম করার জন্য এই কথা বলা হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করবে।”
বিজেপি নেতা উজ্জ্বল সেনও তিনি বলেন “যে ভাবে আমাদের দলের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে, খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তার নিন্দার ভাষা নেই । বিজেপি করলে খুনের হুমকি, এরকম দুষ্কৃতী তাণ্ডব আগে দেখা যায় নি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। সাধারন মানুষ আতঙ্কিত।” নোয়াপাড়া থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।