বুধবার আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসছিলেন মধ্যপ্রদেশের গৃহ ও আইনমন্ত্রী তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির মুখপাত্র নরোত্তম মিশ্র। তাঁর আসার আগের দিন বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হীরাপুর। সেখানের রাঙাপাড়াতে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি দিগ্বিজয় সিংয়ের বাড়ির সামনে শূণ্যগুলি চলেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে উঠিয়েছে গেরুয়া শিবির।
তবে বুধবার বিষয়টি নিয়ে নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, ”তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে অপরাধপ্রবৃত্তি রয়েছে। মাফিয়াদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলে। নির্বাচনের হেরে যাওয়ার ভয়ে ক্ষেপে উঠেছে তারা। তারা বুঝে গেছে, ২ মে তারিখে দিদি ক্ষমতা থেকে চলে যাবেন। তাই এবার বিজেপি লোকজনকে ভয় দেখাতে চাইছেন।”
তবে তাঁর আরও দাবি, ”আমাদের কর্মীরা দিগ্বিজয়কে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রয়েছে। ভোটের ফলাফল শেষে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত গুন্ডা-মাফিয়ারা লুকিয়ে থাকার জায়গা পাবে না। সকলকে ধরে জেলে পাঠানো হবে।”
তবে বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালানো নিয়ে তৃণমূলের দাবি, ”সমস্তটাই নাটক।” তৃণমূল নেতা ভি শিবদাসন দাশু জানান, ” সবটাই নাটক। নিরাপত্তাকর্মী পাওয়ার জন্য বিজেপির নেতারা এমন নাটক করছেন।”
সদস্য বিজেপিচে যোগ দেওয়া জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম না করে ভি শিবদাসন দাশু আরও বলেন, ” যিনি চোর-ডাকাতদের ছায়াসঙ্গী ছিলেন, নাটক করাতে তাঁকে এগারজন সুরক্ষা কর্মী দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে গিয়ে সাধু হতে চাইছেন।”
তিনি আরও বলেন, ”মঙ্গলবার রাত পনেরো রাউন্ড গুলি চলল অথচ এলাকাবাসীর কাছে কোন খবর নাই। কিন্তু দুজন নেতা রাত দুটোর সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করবে। প্রকৃত সত্য জনগণের সামনে আনবে।”
তবে হামলা নিয়ে দিগ্বিজয়ের বাবা বিজয় প্রসাদের অভিযোগ, কেউ বা কারা মঙ্গলবার রাতে বাড়ির দরজাতে কড়া নাড়ে। দরজা না খোলাতে বাড়ির বাইরে শূণ্যে গুলি চালিয়ে গালিগালাজ করে।”
এদিকে দিগ্বিজয় সিং জানান, আসানসোলে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক চলার সময় ফোন করে তাঁকে গুলি চালানোর ঘটনার কথা জানানো হয়। তিনি তাড়াতাড়ি বাড়ি আসেন। খবর পেয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কৃষ্ণেন্দু মূখার্জীও ছুটে আসেন তাঁর বাড়িতে।
দিগ্বিজয় সিংয়ের দাবি, ”বিগত সাত আট মাস থেকে তাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং গতকাল রাতে তার বাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।”
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানান, ”তৃণমূল, বিজেপির বাড়বাড়ন্ত দেখে ভয় পেয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করছে।”