লটারি রহস্য দিনের পর দিন যেন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক সিবিআই লটারি দোকানে অভিযান চালানোর পরেই প্রকাশ্যে এলো নয়া তথ্য। অনুব্রত যে লটারি দোকান থেকে কোটি টাকার লটারি জিতেছিল। সেই দোকানে অভিযান চালানোর পরেই এবার আরও চাপে অনুব্রত মণ্ডল। মূলত, অভিযানের পরে একজন নয়, দুজন নয়, মোট তিনজন লটারি বিক্রেতাকে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে, তিনজনেই অস্বীকার করে জানান, “অনুব্রত মণ্ডলকে কোন লটারিই বিক্রি করিনি”।
এই প্রসঙ্গে নিজ টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “আমি অনেকদিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল। এবার রুচিরা গুপ্ত।”
দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের লটারির টিকিট বোলপুরের গাঙ্গুলি লটারি নামক এক দোকান থেকে কেনা হয়েছিল। সেই দোকানের লটারি এজেন্টকে ডেকে সিবিআই প্রথমে জেরা করে। তারপরে, শুক্রবারে বোলপুরে নিজেরাই হাজির হয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এই অবস্থায়, সুকান্ত ভট্টাচার্য সহ তিন আধিকারিক সেই লটারির দোকানেই অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে নির্দেশ দেন শীঘ্রই অনুব্রত মণ্ডলের লটারি সংক্রান্ত নথি নিয়ে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজির হতে। তারপরেই লটারি ইস্যু নেয় নয়া মোড়।