তৃণমূল (All India Trinamool Congress) ছেড়ে বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যেমন তৃণমূলের পিছনে হাত ধুয়ে পড়েছেন, তেমন তৃণমূলও শুভেন্দু অধিকারীকে নাস্তানাবুদ করতে সবরকম প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন দেহরক্ষীর খুন থেকে শুরু করে ত্রিপল চুরি, সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি সহ একাধিক মামলা ঝুলছে বিরোধী দলনেতার ঘাড়ে। আর এবার পুলিশকে হুমকি দেওয়া এবং জমায়েত করা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে এত মামলার পরেও শুভেন্দু যে দমবার পাত্র নন, সেটা তিনি আজ বুঝিয়ে দিলেন। ওনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পুলিশের কাজ মামলা করা। মামলা তো করবেই।” উল্লেখ্য, করোনার নিয়ম পালনের জন্য নবান্নের তরফ থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে।
সোমবার তমলুকে ৫০-র বেশী মানুষ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুভেন্দু আবার পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, করোনার নিয়ম ভেঙে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অজস্র মানুষ নিয়ে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। আমি সেই ঘটনার হাজার হাজার ভিডিও ক্লিপ দেখাতে পারব। দলদাস পুলিশ এসব নিয়ে কিছু করতে পারবে না।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘ছাত্রাবস্থা থেকে রাজনীতি করছি আমি। ওসব মিথ্যা মামলা, পুলিশ, দুধেল গাইদের ভয় পাইনা আমি।” উল্লেখ্য, সোমবার শুভেন্দু অধিকারী তমলুকে এসপি অফিসের সামনে বিজেপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। ভোট পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী হিংসায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেই তিনি সেই ধরনায় বসেছিলেন। সেখান থেকে তিনি এসপি হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘এখানে একজন বাচ্চা ছেলেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে কে কী বুদ্ধি দিচ্ছে আমি সব জানি। উনি কেন্দ্রীয় ক্যাডার। তাই ওনার এমন কাজ করা উচিৎ নয় যাতে ওনাকে এখানকার ডিউটি ছেড়ে কাশ্মীরের বারামুলা বা অনন্তনাগে ডিউটি করতে হবে।” এসপি অফিসের সামনে ৫০-র বেশী মানুষ নিয়ে ধরনা আর উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তুলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।