ভাটপাড়ার মহম্মদ সাদ্দামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ আশা সাউকে

এক সাদ্দামের গল্পের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক সাদ্দামের কীর্তি সামনে চলে এল | কয়েকদিন আগেই মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেছিলেন যে মা ও মেয়ে,রমা ও রিয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে | সংখ্যালঘু যুবকদের পাল্লায় পড়ে যেন তারা তাদের জীবনে ঝুঁকি ডেকে না আনেন | না উত্তর ২৪পরগণার আরেক প্রান্ত ভাটপাড়ার এক যুবতী সেই সাবধান বাণী শোননেনি | অন্য গোষ্ঠীর এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের জন্যই খুন হতে হল আশা সাউ নামে জনৈক যুবতীকে ,প্রাথমিকভাবে অনুমান তাই | এও এক রকমের জেহাদ | হিন্দু কিশোরী থেকে মহিলা ,মুসলিম যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তারপর তাকে গুম করে দেওয়ার যে প্রবণতা পাকিস্তানের সিন্ধে দেখা যায় অহরহ,সেই প্রবণতাই কি বাড়ছে বাংলায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন |

সোমবার ভাটপাড়া থানা এলাকার বেল্লে-শঙ্করপুরে একটি নির্জন মাঠের ধারে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল । ভাটপাড়া থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলার পরিচয় জানাতে পারেননি। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার রাতেই মহিলার পরিচয় জানা যায়। মৃতার নাম আশা সাউ (২৫), বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেমচাঁদ নগরে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত আশার সঙ্গে সাদ্দামের একটা সম্পর্ক ছিল । এমনকি আশার বাড়িতেও যাতায়াত ছিল সাদ্দামের । তবে প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই আশাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না বলেই দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। আশার চালচলন নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা । তবে খুনের ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না প্রেমচাঁদ নগরের বাসিন্দারা । তাঁরা চায় প্রকৃত দোষীর কঠিন শাস্তি হোক । সোমবার সকালেই মাঠে কাজ করতে গিয়ে বেল্লে-শঙ্করপুরের কয়েকজন চাষি দেখতে পান কয়েকটি কুকুর মাটি খুঁড়ে কিছু বের করছে ।

সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন এক মহিলার দেহ মাটির নীচ থেকে টেনে বের করার চেষ্টায় ছিল কুকুরগুলি । এরপরই ভাটপাড়া থানায় খবর দেয় তাঁরা । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সাদ্দামের বাড়ি আশার বাড়ির কাছে থাকলেও বেল্লে-শঙ্করপুরে আরও একটি বাড়ি ছিল তাঁর। ওই বাড়ির পাশেই তালাবন্ধ আরও একটি বাড়ির পিছনে আশার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের অনুমান ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে আশাকে। এরপর দেহ লোপাট করতেই মাটি চাপা দিয়ে চম্পট দিয়েছিল সাদ্দাম । পরে সুযোগ বুঝে দেহ লোপাট করার তালে ছিল সে। যদিও এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্ত সাদ্দাম | তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.