পল মৈত্র, বালুরঘাট: নীলকণ্ঠ আশ্রম সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা৷ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত দত্ত ২০১৪ সাল থেকে বিডিও, এসডিও ও ডিএম অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরছেন৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি সাহায্য৷
আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে কুশমণ্ডি ব্লকের মস্তইল এলাকায় অনাথ আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন রঞ্জিতবাবু৷ এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন তিনি৷ নিজের বেতনের টাকা থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতেন৷ কিন্তু ২০১৪ সালে অবসর নেন৷ তারপর থেকেই আশ্রমের খরচ চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরে আবেদন জানান৷ কিন্তু কোনো লাভ হয়নি৷ বর্তমানে প্রায় ৯০ জন শিশু রয়েছে এই অনাথ আশ্রমে৷
রঞ্জিতবাবু বলেন, “আশ্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত৷ কষ্টে দিন কাটছে৷ কিছু মানুষ নিয়মিতভাবে না হলেও অল্পবিস্তর চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করেন৷ আমি কিছু দিয়ে কোনও রকমভাবে চলছি৷ সব সরকারি দফতরে দরখাস্ত করেছি৷ সাহায্য মেলেনি৷ এটা সামাজিক কাজ৷ তাই আমি চাই এটা সরকার দেখুক, এগিয়ে আসুক৷ আমাদের একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিক৷ যাতে আমরা এই ভিক্ষার জীবন থেকে অব্যাহতি পাই৷ “
এই বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিজের খরচে আশ্রম চালান৷ এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও সাহায্য পাননি৷ রান্নাঘর, খেলার ঘর বা পড়ার ঘরের অবস্থা বেশ খারাপ৷ ভারত সরকার সবার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করলেও এই আশ্রমে এখনও পর্যন্ত উনুনে রান্না হচ্ছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবা দরকার৷ শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে আবেদন করব৷ আপনারা এগিয়ে আসুন৷ এই শিশুদের পাশে দাঁড়ান৷ “