মুসলিমরা বাংলায় সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। হিন্দুরা আন্দোলন করলেও সঙ্ঘবদ্ধ নয়। এই ছবিই তৃপ্তি দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপিকে। আন্দোলনের ভেদাভেদেই ভোট মেরুকরণে ভাবনা বিজেপির অন্দরে কাজ করছে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার তো ফলাও করে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা। হিন্দু-মুসলিম ভোট মেরুরণের বার্তা হিন্দু-মুসলিম ভোট মেরুরণের বার্তা বিজেপির নেতার স্পষ্ট কথা, “আমরা জানি মুসলমানরা আমাদের বিপক্ষে থাকবে, তবে আমরা অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন পাব এবং সেই ভোটেই জিতব।” আন্দোলনের ভেদাভেদকে নিয়েও অঙ্ক কষে ফেলেছে তারা। তারা চাইছিল সিএএ করে ভোট মেরুকরণ ঘটাতে। আন্দোলনে সঙ্ঘবদ্ধতা প্রকাশ না পাওয়ায় বিজেপি মেরুকরণের সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্দোলন ভাগেই সাফল্য দেখছে বিজেপি আন্দোলন ভাগেই সাফল্য দেখছে বিজেপি শাহিনবাগের মতোই আন্দোলন চলছে কলকাতার পার্কসার্কাসে। মুসলিম মহিলারা সেই আন্দালনে সামিল। আবার যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরাও প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁরা একমঞ্চে আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলন বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে, সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে না। তা হলে আন্দোলন আরও দীর্ঘপথ যেতে পারত। যাদবপুর-পার্কসার্কাসের আন্দোলন যেমন ভিন্ন পথে যাদবপুর-পার্কসার্কাসের আন্দোলন যেমন ভিন্ন পথে শুধু যাদবপুর বা পার্কসার্কাস নয়। মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূমের মতো জেলাগুলির হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ঘরে ঘরে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীরা। মুর্শিদাবাদে ৬৬ শতাংশ মুসলিম। সেই জেলায় সিএএ-এর বিরুদ্ধে সামান্য কিছু অভিজাত হিন্দু মুসলিমদের সঙ্গে আন্দোলনে রয়েছেন বলে দাবি। মালদহে মুসলিম জনসংখ্যা ৫১ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে বিজেপি রাজবংশীদের মতো আদিবাসী এবং বহুজন সম্প্রদায়কে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের ভোট বিজেপির পক্ষে মেরুকরণের ফলেই আদিবাসীদের ভোট বিজেপির পক্ষে মেরুকরণের ফলেই গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী রাজনীতিবিদ খগেন মুর্মু সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আদিবাসী ভোট যে বিজেপির দিকে গিয়েছে, তা পরিষ্কার খগেন মুর্মুর জয়ে। এরই মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি শাখা সক্রিয় এখানে। আদিবাসীদের গণবিবাহের আয়োজন করে তাঁরা মালদহের ভোট মেরুকরণ ঘটানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।
2020-02-27