বহরমপুরে প্রতিবাদের নামে তান্ডব দেখল জেলা, হিন্দুদের একাধিক বাড়ি ভাঙ্গচুর করে চলল লুঠ #IndiaSupportsCAA

প্রতিবাদের নামে তান্ডব দেখল মুর্শিদাবাদ জেলা। এনআরসি ও ক্যাবের বিরোধীতায় চলা প্রতিবাদ আন্দোলন শনিবার থেকে শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টাপর আন্দোলন অব্যাহত রবিবারেও। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি, দফাহাট, নিমতিতা সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে চলল লুঠ। প্রায় ৫০টি বাড়িতে ভাঙ্গচুর করা হয়। ঘটনার জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।

শনিবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলা। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতিতে পুলিশ জনতা সংঘর্ষ হয় এবং বোমাবাজি ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে জনতা পুলিশ খন্ডযুদ্ধে উতপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অন্যদিকে রবিবার দুপুরে সাগরদিঘি, সেঘদিঘি এলাকায় ৩৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এনআরসি ও ক্যাব বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

রবিবার সকাল থেকে সুতি থানার দফাহাট, নিমতিতা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০টি বাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয় এবং বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। বহিরাগত
দুষ্কৃতীরা এসে বাড়িতে লুঠ করে বোমাবাজি করে, যার জেরে বেশ কিছু হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

যদিও দুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হলেও পুলিশের দেখা না পাওয়া গেলেও রবিবার দুপুরের পর থেকে সুতি এলাকায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা পুলিশ গুলি চালায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

যদিও রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে আট কোম্পানি আরপিএফ ও সিআরফিএফ পাঠানো হয় এবং সমস্ত রেল ষ্টেশনে রবিবার সকাল থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু রেল ষ্টেশন ভাঙ্গচুর ও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ফলে রবিবার সকাল থেকেই বহরমপুর ষ্টেশন সহ একাধিক ষ্টেশনে সিআরফিএফ দখল নেয় বহিরাগত কাউকে ষ্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.