কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা এই বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মঙ্গলবারের বনধকে কেন্দ্র করে কোথাও যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল রাজধানী। লাগোয়া পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে লক্ষ-লক্ষ কৃষক দিল্লি ঘেরাও করেছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের।
তবে এখনও সমাধান অধরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক বিদ্রোহে সমর্থন আসছে। এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে দেশের কৃষকদের এই প্রতিবাদ। কানাডার প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কৃষকদের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছেন।
দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে বেশ চাপে রয়েছেন মোদী-শাহরা।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় আগামী ৯ ডিসেম্বর ফের কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়েই আগামী ৯ তারিখ কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা।
এদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, টিআরএস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, এনসিপি-সহ একাধিক বিরোধী দলগুলি।
সেই কারণেই চাপ বেড়েছে মোদী-শাহদের উপর। মঙ্গলবারের বনধ রাজ্যে-রাজ্যে সফলভাবে করতে তৎপর কৃষক সংগঠনগুলি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই কৃষক বিক্ষোভ সমর্থন করায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবারের বনধকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।