দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার তারগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুমন ইসলাম(২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, কাহারোল উপজেলার বুলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে কাহারোল কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় সন্ধ্যা ৭টায় মল্লিকপুর তিন রাস্তার মোড়ে আসামাত্র আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সুমন ইসলাম ও তার দুই সহযোগী মিলে কিশোরীকে তার ওড়না দিয়ে মুখ বন্ধ করে পাশ্ববর্তী একটি লিচু বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে, ধর্ষন করে আসামিরা চলে গেলে কিশোরী দুর্বল শরীর নিয়ে বাখর খুরিয়া দোকানের সামনে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এই সময় স্থানীয়রা মেয়েটি চিনতে পারলে ভ্যান যোগে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। বাড়িতে কিশোরীর মাথায় পানি ঢালার পর জ্ঞান ফিরে বাবা বুধারু রায়কে ঘটনাবলী খুলে বলেন।
এইদিকে আসামিরা ঘটনার পরপরই বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে বলে যা হবার তা হয়ে গেছে বাড়াবাড়ির কোন দরকার নাই। বেশী বাড়াবাড়ি করেলে পরিবারের কেউ জীবিত থাকবে না।
এইদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরী বিশ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়। কিশোরী এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি কাহারোল থানায় একটি শিশু ও নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ ৯/৩ ধারায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনার মুলহোতা সুমন ইসলাম(২০) নামে ঐ যুবককে আটক করেছে।
থানার ওসি আইয়ুব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।