ল্যান্ড রেজিস্ট্রি অফিসের একশ্রেণীর কর্মচারীর যোগসাজশে ৩০০ বছরের পুরনো হিন্দুদের পবিত্র শ্মশান পরিণত হলো কবরস্থানে। ঘটনা মালদহ জেলার চাঁচল থানার অন্তর্গত অলিহোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০০ বছর পুরোনো একটি শ্মশান রয়েছে। এমনকি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত শ্মশান হিসেবে ওটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং পঞ্চায়েতের তরফ থেকে NOC-ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যখন জনৈক গ্রামবাসী ওটাকে শ্মশান হিসেবে রেকর্ড করাতে যায়, তখন দেখা যায় যে ওই শ্মশান কবরস্থান হিসেবে নথিভুক্ত।
স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। শ্মশান কবরস্থানে পরিণত হলে তাঁরা মৃতদেহ দাহ করবেন কোথায়, তা ভেবে পাচ্ছেন না।
এমতবস্থায় শ্মশান বাঁচানোর লক্ষ্যে লড়াই শুরু করেছেন তারা। হিন্দু গ্রামবাসীদের সহযোগী হয়েছেন মালদার একটি হিন্দু সংগঠন ‛হিন্দু কমিউনিটি অফ মালদা’ । গ্রামবাসীরা এবং ওই হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা প্রশাসনিক স্তরে লড়াই শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যেই একশ্রেণীর মুসলিম বাসিন্দারা শ্মশান দখলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা ইতোমধ্যেই শ্মশানে থাকা পুজোর বটগাছ কেটে ফেলেছে এবং শ্মশানে ইসলামিক পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে মৃতদেহ কবর দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে আগামীদিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃতদেহ দাহ করার জায়গা রইলো না বলে মনে করছেন হিন্দু গ্রামবাসীরা। এমতবস্থায় ক্ষুব্ধ হিন্দু বাসিন্দারা আইনি লড়াই শুরু করেছেন। তারা এও প্রশ্ন তুলেছেন যে পঞ্চায়েত স্বীকৃত শ্মশান কিভাবে কবরস্থানে পরিণত হতে পারে। সেইসঙ্গে এই কাজে জড়িত ল্যান্ড দপ্তরের কর্মীদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন তারা।