উত্তেজনা, বিক্ষোভ, বিক্ষিপ্ত হিংসা, অশান্তি ও ইভিএম বিভ্রাটের মতো অভিযোগ তো ছিল৷ তার মধ্যেও মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে কাটল প্রথম দফার নির্বাচন৷ বৃহস্পতিবার ১৮টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৯১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়৷ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ভোটের হার মিশ্র৷ ভোট দানে শীর্ষে বাংলা৷ সবার পিছনে বিহার৷
প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের দুটি কেন্দ্রে ভোট হয়৷ একটি আলিপুরদুয়ারে ও দ্বিতীয়টি কোচবিহারে৷ দিনের শেষে এই দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটের হার ৮০.৯ শতাংশ৷ যা প্রথম দফায় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে কমিশন৷ অপরদিকে ভোটের হারের নিরিখে একেবারে পিছিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার৷ এদিন রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে ভোট হয়৷ ভোটের হার খুবই খারাপ৷ চারটি কেন্দ্র মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫০.৩ শতাংশ৷
বৃহস্পতিবার দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও সিকিমে ভোটগ্রহণ হয়৷ এই রাজ্য গুলিতে ভোটের হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি৷ ৭৯.১ শতাংশে এসে থেমে গিয়েছে অরুণাচল প্রদেশের ভোটের হার৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মেঘালয় ও মণিপুরে ভোটের হার কম৷ দুটি রাজ্যে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ৷
লোকসভা ভোটের নিরিখে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ভোটের হারও হতাশজনক৷ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্র মিলিয়ে মাত্র ৫৯.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ গতবার এখানে ভোটের হার ছিল ৬৫.৮ শতাংশ৷ অর্থাৎ এবার ছয় শতাংশ ভোট কম পড়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের ভোটের দিন এমন ছবি চিন্তা বাড়িয়েছে বিরোধী শিবিরের৷
ভোটের দিন অন্ধ্রপ্রদেশের যে ছবি সামনে এসেছে তারপর সেখানে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে হয়েছে তা জোর গলায় বলা যাবে না৷ বিক্ষিপ্ত হিংসায় সেখানে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ রাজ্যের ১৭৫টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ২৫টি লোকসভা আসনে ভোট হয়৷ ভোটের হার ৬৬ শতাংশ৷ গতবার এই ভোটের হার ছিল ৭৮.৮ শতাংশ৷