ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক ফল, কড়া সমালোচনা নেটানাগরিকদের

ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিক ফলের কড়া সমালোচনা করলেন নেট নাগরিকরা।

এবার রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯।

এই নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল দীপঙ্কর সিংহ লিখেছেন, “ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক ফল ঘোষণা করে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পরিপূরক ভূমিকা নিচ্ছেন। ধিক্কার দিই আপনাদের।“ তাঁর এই পোস্ট, ২ ঘন্টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৯০, ১৭ ও ৬।

উৎপল কুমার সরকার লিখেছেন, “এটাই এখন ক্ষমতায় টিকে থাকার অস্ত্র স্যার। সবচেয়ে মূল / বড় অস্ত্র। ধন্যবাদ আপনাকে তুলে ধরার জন্য।“

মানস রায় লিখেছেন, “সত্যি ধিক্কার জানাতেই হবে।“

সমীর দাস লিখেছেন, “রাজ্যের মাথা যখন দুধেল গাই বলে, তখনই বোঝা যায় যে, তার অধীনস্তরাও একই পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। করছেও তাই। হিন্দু, মুসলিম ভাগ করে দেখানোর জন্যেই নবান্নের নির্দেশ অবশ্যই ছিল। নাহলে এই বার কেন এমন ভাবে ফল প্রকাশের সময় ব্যাখ্যা দেবে ধর্মের ভিত্তিতে!“

স্বপন দাস লিখেছেন, “ভোটে দুধেল গাই। শিক্ষায় মুসলিম।“

তপন হাজরা লিখেছেন, “একদমই। ছাত্রদের ধর্মীয় পরিচিত দিতে চাওয়া কেন?“

পৃথক পোস্টে গর্গ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “রুমানা মানুষের ডাক্তার হতে চায়, মানুষের চিকিৎসা করতে চায়। ওর ধর্মীয় পরিচিতি খুঁজবেন না, মেধাতেই ওর পরিচয়।

বিজেপি-র রাজ্য প্রচার শাখার প্রধান সপ্তর্ষি চৌধুরী টুইটে লিখেছেন, “ভাগ্যিস বেগম রোকেয়া বাঙ্গালী ছিলেন। কোনো সরকার যে এই ভাবে ধর্ম উল্লেখ করে ফল ঘোষণা করে জানা ছিল না। #এগিয়েবাংলা।“

পৃথক পোস্টে দীপঙ্কর সিংহ লিখেছেন, “উচ্চ মাধ্যমিকে যে বাঙালি কিশোরী ৪৯৯/৫০০ পেয়ে প্রথম হয়েছে, তার ধর্মীয় পরিচয় বলছে সংসদ সভাপতি ও চ্যানেলগুলি। এদের লজ্জা থাকলে বাঙালি জাতির কাছে ক্ষমা চাক।“ ৫৬ মিনিটে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৫৬, ৩ ও ৩।

পৃথক পোস্টে গোপাল চ্যাটার্জি লিখেছেন, “দিন দিন সাংবাদিকতায় এত নতুন শব্দ শুনছি মনে হচ্ছে এবার পেশা ছেড়ে পালাই। উচ্চ মাধ্যমিক রেজাল্ট প্রকাশের সময় পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য একটি সংবাদ মাধ্যমে হেডলাইন। এবার এক মুসলমান কন্যা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন……..।” ৫৩ মিনিটে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৪৩, ১৯ ও ১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.