নারদ শুনানি ফের কাল, টানটান সওয়াল-জবাবে সিবিআইকে কড়া কড়া প্রশ্ন আদালতের

ফের একটা টানটান শুনানি। কিন্তু নারদ জয়ন্তীতে নারদ মামলার সেই শুনানির শেষে সিদ্ধান্ত হল না এদিনও। শুক্রবার বেলা ১২টায় ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।

এদিন সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা বলেন, যে ভাবে নিজাম প্যালেসের বাইরে শাসকদল জমায়েত করেছিল তারপর যদি ধৃতদের জামিন দেওয়া হয় তাহলে আদালত সম্পর্কে মানুষের আস্থা উঠে যাবে। মনে হবে বাইরের চাপের কাছে আদালত প্রভাবিত হয়েছে।

Rupnagar
তুষার মেটার এই মন্তব্য নিয়েই বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতিরা কার্যত একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন। তুষার মেটার উদ্দেশে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “দেশের যে কোনও জায়গায় কোনও সেলিব্রিটি গ্রেফতার হলে তাঁর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। অনুগামীরা যদি কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখায় তাহলে কি বলবেন তাঁরা প্রভাবশালী?

এরপর বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, “বহু হাই প্রোফাইল মামলায় মানুষের আবেগ, কান্না জড়িয়ে থাকে। তাতে যে বিচারক প্রভাবিত হয়েছেন তা প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে আপনাদের উদাহরণ বিপরীতে যেতে পারে।”

এদিন ধৃত চার জনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেছেন, সিবিআই যে কায়দায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করছেন তার কোনও আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও বলেছেন, সিবিআই যে ভাবে গ্রেফতার করেছে তা বেআইনি।

গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার নেতামন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর প্রথমে নিম্ন আদালত চার জনকে জামিন দিলেও পরে হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে মতানৈক্য হওয়ায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে আদালত। সেখানেই একের পর এক শুনানি হয়ে চলেছে।

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রথমে সিবিআই নিম্ন আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছিল। কিন্তু বিচারক তা গ্রহণ করেননি। কিন্তু দেখা গেল ধৃতরা হেফাজতে রয়েছেন আজকে ১১ দিন হতে চলল। এদিন শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আবেদন করেন, রাজ্য সরকারকে নারদ মামলায় পক্ষ করা হোক। বৃহত্তর বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.