বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ এখন রাজ্যজুড়ে। একদিকে যেমন পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল, তেমনই নীলবাড়ি দখল পেতে মরিয়া বিজেপি। সেই কারণে প্রায়ই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যে আসছেন। ঘনঘন রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারের দুপুরে যেমন একদিকে রয়েছে অমিত শাহের জনসভা তেমনই আজ বাঁকুড়াতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
শনিবার খড়গপুরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বাঁকুড়ায় সভা করবেন তিনি। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিলাবেদ্য ময়দানে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আগামী ১০ দিনে তিনি রাজ্য়ে ৪টি ব়্যালি করবেন। খড়গপুরের জনসভা থেকে শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবারের নির্বাচনটা শুধু বিধায়ক নির্বাচনের নির্বাচন নয়। এবারের নির্বাচন শুধু মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের নির্বাচন নয়। এবারের নির্বাচন সোনার বাংলা তৈরির নির্বাচন।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “আমরা দেশে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছি, বাংলায় সিঙ্গেল উইন্ডো হচ্ছে ভাইপো উইন্ডো।”
উন্নয়নের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন আবার ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “১০ বছর দিদিকে রাজ্যের মানুষ ভরসা করেছে। দিদি তাদের সঙ্গে চলোনা করেছে। দিদি বাংলার মানুষ জবাব চাইছে। আপনি ১০ বছর রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করে রেখেছেন। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত, কিষান সম্মান প্রকল্প এই রাজ্যে চালু করতে দেননি, ভেবেছেন তাতে মোদীর সুনাম হয়ে যাবে। আসলে দিদি আপনি মানুষের পেটে লাথি মেরেছেন। মানুষ এবার আপনার কাছে জবাব চায়।”
এছাড় রবিরার প্রধানমন্ত্রীর সভার পাশাপাশি অমিত শাহের সভাও রয়েছে। এদিনই হবে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ। জানা গিয়েছে, বিজেপির ইস্তেহারে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সুবিধার কথা থাকতে পারে। সরকারি ক্ষেত্রে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি থাকতে পারে ইস্তেহারে। এছাড়া তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের জন্যও একাধিক সুযোগের কথা ইস্তেহারে থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্য়েই অমিত শাহ বলেছেন রাজ্যে BJP ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশন চালু হবে। এই কথাও ইস্তেহারে তোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।