নারদা ঘুষকাণ্ড মামলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) হলফনামা গ্রহণ করল হাইকোর্ট। দুজনের হলফনামা গ্রহণের পর সিবিআইকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে হলফনামা দাখিলের জন্য। মামলার আগামী শুনানি ১৫ জুলাই হবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তিন পক্ষকেই ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে নারদা মামলার শুনানিতে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওনারা দুজনাই পরিকল্পনা মাফিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেননি।”
এরপর বিচারপতি সৌমেন সেন সিবিআই-এর আইনজীবীর কাছে জানতে চান যে, রাজ্য যদি হলফনামা পেশ করে তথ্য জানতে চায়, তাহলে আপত্তি কিসের? তিনি জানান, সিবিআই-এর অভিযোগের কারণে মানুষের জমায়েত তত্ত্ব আদালতে মানা হয়নি।
উল্লেখ্য, ৯ জুন থেকে হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদা মামলার শুনানি চলছে। এই শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। কিন্তু আদালত ওনার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, শুনানির মাঝে হলফনামা জমা দিলে মামলার অভিমুখ বদলে যেতে পারে।
এরপরই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এরপর শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে।