রাজ্য জুড়ে উৎসবের আমেজ। তার মধ্যেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পেটে লাথি মেরে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী এলাকার ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপি নেতা অমল মণ্ডল হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমল মণ্ডল গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল এবং বর্তমানে তিনি বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি। আর সেটাই রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় শাসক দলের নেতৃত্বদের। আর বিজেপি করার অপরাধে অমল মণ্ডলকে ঝড়খালি বাজারে পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় শাসকদলের কর্মী ও নেতৃত্বরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে থেকে ঘর ছাড়া ছিল অমল মণ্ডল ও তার পরিবার। এরপর পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘরে ফেরে অমলবাবু। ঘরে ফিরলেও কিন্তু শাসকদলের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি। তাঁকে ঝড়খালি বাজারে মারধর করে। পেটে কিল চড় ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা সবাই শাসক দলের কর্মী। এমনটাই অভিযোগ অমল মণ্ডলের পরিবারের।
ঘটনার বিষয়ে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি’ র সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি নেতা বিকাশ সরদার জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আমাদের ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে মেরে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন নোংরা রাজনীতির জন্য তৃণমূলকে ধিক্কার জানাচ্ছি। শুধু ধিক্কার নয়, ঘটনায় অভিযুক্তদের মূল মাথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানাচ্ছি।’