বিশ্বভারতীতে এসে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ারেই বসেছিলেন অমিত শাহ ! কংগ্রসে সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি লোকসভায় এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ-র বিরুদ্ধে৷
মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রমাণ দিয়ে অধীররঞ্জনের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করলেন শাহ৷ বিষয়টি নিয়ে তিনি টুইটও করেন। তিনি বলেন যে, রবি ঠাকুরের চেয়ারে তিনি বসেননি৷ তিনি যেখানে বসেছিলেন, তা জানলারই একটি অংশ৷ শাহ এও বলেন যে, রবি ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ার এবং সোফায় অতীতে দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও রাজীব গান্ধী বসেছেন৷
শাহ এদিন লোকসভায় বলেন, “গতকাল অধীররঞ্জন চৌধুরি নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে, আমি নাকি শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসেছিলাম! ওঁর কাছে হয়তো তথ্য নেই৷ কিন্তু আমি তথ্যের রেকর্ড লোকসভায় তুলে ধরব৷ সত্যিটা এই যে, পণ্ডিত নেহরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসেছিলেন৷ এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোফায় বসে চা পান করেছেন৷ আমার কাছে শান্তিনিকেতনের উপাচার্যের চিঠি আছে যেখানে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷ আমি জানলার পাশে বসেছিলাম৷ সেখানে যে কেউ বসতে পারে৷” শাহ তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু ছবি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চিঠির প্রতিলিপিও পেশ করেন৷ শাহকে হোয়াটসঅ্যাপে যে ছবিগুলি পাঠান হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, শাহ যে চেয়ারে বসেছিলেন সেখানে প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল ও প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে রাজীব গান্ধি ও নেহরু৷