বুধবারই প্রধানমন্ত্রী সভা করে গিয়েছেন। আর বৃহস্পতিবার সকালেই শিলিগুড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া গেল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনিতে প্রাতঃভ্রমণকারীরা প্রথমে বিজেপি বুথ অফিসে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁরাই খবর দেন থানায়। খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম নিত্য মণ্ডল। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার কাঠামবাড়ি এলাকায়। কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়ির নেতাজি কলোনিতে সস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিত্যবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। পুলিশের কাছে খবর পেয়েই তিনি সবটা জানতে পারেন। বাড়ির একমাত্র রোজগেরেকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার।
তবে এই ঘটনার পরেই উঠেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। হাঁটতে বেরিয়ে কীভাবে মারা গেলেন নিত্যবাবু? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এর আগে শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ায় একটি চকলেট কারখানায় কাজ করতেন নিত্যবাবু। কিন্তু সেই চাকরি চলে যাওয়ার পর বাড়ি তৈরির দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এলাকায় কারও সঙ্গে গণ্ডগোল ছিল না তাঁর। বেশ ভালো মানুষ নামেই পরিচিত ছিলেন নিত্যবাবু। তাহলে হঠাৎ করে আত্মহত্যা কেন করতে গেলেন তিনি?
উঠে আসছে আরও একটা প্রশ্ন। গলায় দড়ি দেওয়ার জন্য বিজেপির বুথ অফিসেই কেন গেলেন নিত্যবাবু? বিজেপির তরফে অবশ্য কিছু বলা হয়নি। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা তাও জানা যায়নি। গত পঞ্চায়েত ভোটের পর পুরুলিয়ার বলরামপুরে ত্রিলোচন মাহাতো ও দুলাল কুমার নামের দুই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। বিজেপি অভিযোগ এনেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। এমনকী বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এসে সেখানে সভা করে তৃণমূলকে দুষেছিলেন।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ময়দানে নামেনি কোনও রাজনৈতিক দল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে ভোটের ময়দানে এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা যে হবে না, তা কে বলতে পারে!