রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ভোটের আবহেই তাই করোনা মোকাবিলার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নেওয়া হল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
এদিন আলিপুরের উত্তীর্ণ ভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উত্তীর্ণ ভবনে একটি সেফ হোম তৈরি করা হবে। সেখানে করোনা রোগীদের জন্য মোট ৫০০ বেডের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেফ হোম তৈরি হবে কিশোরভারতী স্টেডিয়াম এবং কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও। গীতাঞ্জলিতে মোট ২০০ ও কিশোরভারতীতে ৫০০ বেডের ব্যবস্থা করা হবে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুই থেকে তিন হাজার সেফ হোম এবং কোয়ারানটাইন সেন্টার তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। আনন্দপুর, রাজারহাট এমনকি কিশোরভারতী স্টেডিয়ামেও বেশ কিছু বেডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়ার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। এক কথায় করোনার উর্ধ্বমুখী গ্রাফের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ফের সেজে উঠছে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিনের বৈঠকে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা শান্তনু সেন, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী এবং কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ফিরহাদ হাকিম বলেন, “করোনা প্রতিরোধ করাই আপাতত আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেফ হোমে আমরা প্রথমে রোগীকে আনব। যদি দেখি তাঁর অবস্থা খারাপ তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করব। সেখান থেকে যাঁরা সুস্থ হয়ে যাবেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আবার আনা হবে সেফ হোমে।” জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভোটের মাঝে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এদিন তার রিপোর্ট পেশ করা হয় রাজ্যপালের কাছে। রাজভবনে হাজির হন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সেখানেও চলে বৈঠক। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে বৈঠকের কথা জানান জগদীপ ধনখড়।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আমাকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা দেখে আমি অভিভূত। এই কঠিন সময়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলেমিশে কাজ করা দরকার।”