এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর খসড়া বিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কৃষক বিক্ষোভে অশান্তি ঘিরে সোশাল মিডিয়া টুইটারের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধ হয়েছে মোদী সরকারের। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে টুইটার কর্তৃপক্ষ এখনও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। টুইটার কেন্দ্রের নির্দেশ কতটা মেনে চলবে তা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। এই আবহেই এবার সোশাল মিডিয়াকে চাপে রাখতে কঠোর খসড়া বিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের নির্দেশ মতো বেশ কিছু উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে রাজি হয়নি টুইটার। এভাবে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া তাঁদের বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার সামিল বলেই মনে করে এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মটি।
এই যুক্তিতেই এখনও সেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়নি। টুইটারের এই মনোভাবে বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টুইটারের কর্তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, টুইটারকে আগে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা থেকে সরতে বিন্দুমাত্র রাজি নয় সরকার।
এব্যাপারে কোনও আপোসের রাস্তায় হাঁটা কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, টুইটার কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের কথা মতো ওই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ না করলে সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার উপর আরো কড়া নিয়ন্ত্রণের ভাবনা মোদী সরকারের। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সব সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইতিমধ্যেই খসড়া বিধি তৈরি করা হয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাতে একজন অফিসারকে নিয়োগ করবে।
সেই অফিসার ক্রমাগত সোশ্যাল সাইটগুলির উপর নজরদারি চালাবেন। তিনিই কেন্দ্রের তৈরি আইন সংস্থাগুলির যাবতীয় অভিযোগের জবাব দেবেন। সোশ্যাল সাইটগুলি নিয়ে কী কী অভিযোগ আসছে সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে নিযুক্ত অফিসার প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দেবেন।
কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি চালু করতে চায় যার উপর সরকারই নিয়মিত নজর রাখবে। তবে আপাতত কেন্দ্রের তৈরি এই খসড়া-বিধিতে কোনও শাস্তির কথা বলা হয়নি।