বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাডডার (JP Nadda) ওপর ডায়মন্ড হারবারে হামলার ঘটনায় বড়োসড়ো পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) পৌঁছানোর পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, নবান্নে (Nabanna) তলবের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঘটনা নজিরবিহীন বলেই উল্লেখ করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির ওপর হামলার ঘটনা যে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ভালো চোখে দেখেননি, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু জেপি নাড্ডাই নয়, আক্রান্ত হয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও অনুপম হাজরা। সেকথাও জেনেছেন দিল্লির নেতারা।
ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ফোন করেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। জানতে চান ঘটনা প্রসঙ্গে। তখনই বোঝা গিয়েছিল এবিষয়ে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল। শুক্রবার সকালে জানা যায়, ডায়মন্ড হারবারের ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাজ্য সফরে আসবেন। আগামী ১৯-২০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে আসবেন তিনি। সেই সফরে মোট ৩টি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এদিন সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। জানা মাত্রই আমি রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিষয়টি প্রসঙ্গে অবগত করেছিলাম। কিন্তু, গুন্ডামি করতে দেওয়া হল। যে যা ইচ্ছা করছিল, পতাকা হাতে নিয়ে ভন্ডামি করা হলো। কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার’ বন্দোবস্ত করা হয়নি।” রাজ্যপাল আরও বলেন, “প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর একজন মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেন কি করে ? আমি লজ্জিত, আমি স্তম্ভিত।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে জেপি নাডডার ওপর হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “শিরাকোলে কিছুই হয়নি।”