রাজ্যে চলতে থাকা অশান্ত পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার রাজ্যের চার প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠকে বসতে চান বলে জানা গিয়েছে৷ আগামিকাল রাজভবনে বিকেল ৪টে নাগাদ এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে৷
জানা যায়, প্রথমে রাজ্যে সর্বদলীয় বৈঠকের কথা ভাবা হলেও, পরবর্তী সময়ে প্রধান চারটি দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের প্রধান চার নেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোমেন মিত্রর এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা৷
মূলত, রাজ্যের বর্তমান অবস্থা, সেই সঙ্গে সন্দেশখালি থেকে এনআরএস কাণ্ড, এমনই বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলতে পারে এই বৈঠকে, এমনটাই সূত্রের খবর৷ এই বিষয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে রাজভবনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই দফায় দফায় রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে৷ ফলাফল প্রকাশের পরও সেই উত্তেজনার রেশ বেড়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের৷ কখনও জয় শ্রীরাম-জয় হিন্দ স্লোগান, কখনওবা সন্দেশখালি, কখনও আবার এনআরএস৷ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে তোপ দেগেছে প্রতিপক্ষরা৷ পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবিরও৷ সম্প্রতি সন্দেশখালিতে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ যা প্রাণ নেয় দুই দলের কর্মীরই৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়েন অনেক বাসিন্দাই৷
এমতাবস্থায় রাজ্যের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার চলছে না, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, সরকার চালাতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী, এমনই বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বুধবার লালবাজার অভিযানে নামে বিজেপি৷ কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে এই মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির আরও অনেক নেতা-নেত্রীই৷ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ এই মিছিল আটকাতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়৷ তবে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন সফল হয়েছে বলেই মত বিজেপি নেতাদের৷
সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে প্রধান চার রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতাদের বৈঠকে আহ্বান জানান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি৷ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সোমেন মিত্র৷