কিশোরী খুনে অভিযুক্তদের জামাই আদর করবার অভিযোগ। খাবারের তালিকায় ভাত, ডাল, ডিম, মাছ, সব্জি। চলল ভালো টিফিনও। ক্ষোভের পারদ জেলা জুড়ে। মুখে কুলুপ পুলিশ কর্তাদের। কুমারগঞ্জ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্রের খবর, সাধারণ অপরাধীদের জন্য স্থানীয় হোটেল থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও এক্ষেত্রে পুলিশ ক্যান্টিন থেকেই খাবার আনা হচ্ছে কিশোরী খুনে ওই অভিযুক্তদের জন্য। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ভাত, ডাল, মাছ, ডিম ও সবজি খাবার দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। নিয়ম করে সকালে দেওয়া হয়েছে টিফিনও বলেও সূত্রের খবর। একই সাথে শীতের জন্য ভালো কম্বলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে অভিযুক্তদের জন্য বলেও সূত্রের খবর। পুলিশ লকআপে মূল অভিযুক্ত মহাবুর মিয়াঁ এবং পঙ্কজ বর্মন কে এক সাথে রাখা হলেও আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে গৌতম বর্মনকে বলেও সূত্রের খবর।
যদিও এদিন এই বিষয় নিয়ে কুমারগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় মুখার্জিকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে কুমারগঞ্জের অশোকগ্রাম এলাকায় জলসা চলাকালীন সময়ে এলাকায় দেখা গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত মহাবুর মিয়াঁ সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে। যারাই ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে কুমারগঞ্জে নিয়ে গিয়েছিল। যেখান থেকে সাফানগরের বেলখোর এলাকার নির্জন ফাঁকা মাঠে রাতভর গনধর্ষন করে ওই তিন অভিযুক্ত যুবক বলে অভিযোগ। সজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই কিশোরীর গলা কেটে খুন করে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন জেলার সমস্ত স্তরের মানুষ। জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে মোমবাতি মিছিল সবই চলে জেলাজুড়ে। যার চাপে পড়ে ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত তিন যুবককে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড নেয় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। যে লকআপে একপ্রকার তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলাজুড়ে। ক্ষোভ প্রকাশ মৃতার পরিবারের লোকেদের।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা চান তারা। এক্ষেত্রে পুলিশের মানবিকতা দেখানোর কোন বিষয় নেই।