‘পশ্চিমবঙ্গে ব্যক্তির শাসন চলছে।’ বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া।
শুক্রবার বিজেপির সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে গৌরব জানান, ভোটের ফল প্রকাশের পর সংবিধানের অমান্য করে স্বৈরাচার চালিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের চোখ বন্ধ করে রেখে তৃণমূলের গুণ্ডাদের ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
তাঁর দাবি, বিজেপি অনেক শান্তির সঙ্গে ভোট করেছে। কিন্তু মমতা বদলার রাজনীতি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২ মে ফলপ্রকাশের পরই বাংলার প্রতিটি জায়গায় হিংসা শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও অভিযোগ পর্যন্ত নেয়নি।
তাঁর অভিযোগ, মমতার শাসনে প্রশাসন কার্যত দলদাসে পরিণত হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত বিষয়টিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর মহিলাদের নিগ্রহ করা হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ভয় দেখানো হয়েছে। এমনকি বিজেপি করার অপরাধে খুনও করা হয়েছে। তাঁরা যাতে নির্ভয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে, সেবিষয়েও বলা হয়েছে।
আক্রান্তরা যেন আর্থিক সাহায্যও পান। এবিষয়ে বিজেপি ওই পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।
গৌরবের দাবি, যারা তৃণমূলকে ভোট দেয়নি, তাঁদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে কারও সম্পত্তি নষ্ট হয়ে থাকলে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত। কিন্তু মমতা সংবিধান মানেন না। ২ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে যে, বাংলায় ভোটের পর হিংসা হয়েছে। নাবালিকাদের নিগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার তা মানছে না। মমতার নাকের ডগায় এসব হয়েছে। দলের নেতারাও এতে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘গভীর কষ্টের সঙ্গে শুধু এটুকুই বলতে চাই, মমতার নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমাদের ওঁর পছন্দ নাও হতে পারে। জয় শ্রী রাম স্লোগান উঠলেও ওঁর খারাপ লাগে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির উর্ধ্বে। রাজ্যের সবাই দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। কিন্তু বাংলায় এখন গুণ্ডারাজ চলছে। কিন্তু সবসময় মানুষের সেবায় বিজেপি রয়েছে। মমতাকে আমরা বারবার আয়না দেখাবো। নিজের সরকারের মুখ ঠিক না লাগলে, ভাববেন তা ঠিক করার সময় এসেছে।’