করোনার (corona)জের। সংক্রমণ রুখতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা, তমলুক সহ হলদিয়া শিল্পাঞ্চলকে আক্রান্তের ভিত্তিতে রেড জোন ঘোষনা করা হল।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের তৎপরতার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনের তালিকায় চলে আসে। কিন্তু পরবর্তীকালে আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফের রেডজোনে চলে আসে। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলাবাসীর।
অন্যদিকে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে শর্তসাপেক্ষে বেশকিছু এলাকায় লকডাউন শিথিল কিরা হয়েছে। তবে রেড জোনের জন্য লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে পালন করা হচ্ছে।
বেশকিছু দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালের ভর্তি হয়েছিলেন। গত বুধবার পাঁচজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাঁচজনকে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে চলে যাওয়ার দিকে।
পূর্ব মেদিনীপুর মুখ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার পাঁচজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পাঁচজনের রির্পোট নেগেটিভ আসায় ও সুস্থ হয়ে যাওয়ার কারনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আক্রান্তের তালিকা শূন্য।
এদিকে নতুন করে যাতে কেউ না আক্রান্ত হয় তার জন্য স্বাস্থ দফতরের প্রতিনিধিরা ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। রেড জোন থেকে গ্রীন জোন যেতে হলে লকডাউন মেনে চলাই একমাত্র পথ বলে মত প্রকাশ করেন চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদরা।
চিকিৎসক আশিস ভক্তা, সাহিত্যিক আশোক লাটুয়া এবং শিক্ষাবিদ হরিপদ মাইতিরা জানান, করোনার মহামারি থেকে রক্ষা পেতে এই পৃথিবীতে আরও কিছুদিন সুস্থ শরিরে বাঁচতে হলে আমাদের সকলকে লকডাউন মানতে হবে। পাশাপাশি সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তবেই করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। না হলে গ্রীনজোন থেকে রেড বা গ্রীন থেকে অরেঞ্জ জোনে চলে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। ফলে করোনা থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র পথ লকডাউন মেনে চলা।