বন্যায় বিধ্বস্ত বিহার৷ রবিবারই প্রাণ হারিয়েছে চার জন৷ রাজ্যের ৯ জেলার ১৮ লক্ষ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে৷ আইএমডি রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার উত্তর বিহারে ভারী বৃষ্টিপাত হয়৷ পূর্ব চম্পারণে ২১৪.৯২এমএম, সীতামারহিতে ১৫৪.৫৫এমএম এবং মুজাফ্ফরপুরে ১২৫.১৫এমএম বৃষ্টি হয়৷ অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, আলিপুরদুয়ারে ১৫০এমএম, কোচবিহারে ১১০এমএম, শিলিগুড়িতে ১০৫এমএম, কালিম্পঙে ৬০এমএম এবং দার্জিলিংয়ে ৩০এমএম বৃষ্টি হয়৷
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারে বিভিন্ন জেলার এরিয়াল সার্ভে করেন৷ বন্যার জলে ৯ জেলার ৫৫ ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে শিওহর, সীতামাহি, পূর্ব চম্পারণ, মধুবনী, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, সুপল, দ্বারভাঙ্গা এবং মুজফ্ফরপুর৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে সীতামাহি এবং আরারিয়া৷
প্রায় ১১ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ উদ্ধার এবং ত্রাণকার্যের জন্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স(এনডিআরএফ) এবং স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের ১৩ দল কাজে নিযুক্ত রয়েছে৷ পাশাপাশি ১৫২ ট্রাণশিবির রয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৪৫,০৫৩ জন৷ রয়েছে ২৫১ কমিউনিটি কিচেন৷
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় উচ্চ-স্তরীয় বৈঠক করেন বলে জানা যায়৷ ইতিমধ্যেই সতর্কতাবার্তা জারি করে আইএমডি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে আগামী দুদিন৷