হাসপাতালে আইসোলেশনে মৃত ব্যক্তিকে রাতের অন্ধকারে কবর দিতে গিয়ে বিপত্তি। পুরসভার কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল আন্দুলরোড (Andul Road) এলাকার বাসিন্দারা। কেন ওই ব্যক্তিকে লুকিয়ে কবর দেওয়া হচ্ছিল, তাই নিয়ে ধুন্ধুমার। পরে পুলিশ বাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে হঠিয়ে দেয় বাসিন্দাদের। বিষয়টি নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় আন্দুল রোড এলাকায়। সূত্রের খবর, করোনা (Corona) সন্দেহে ওই ব্যক্তির পরিবারের সাতজনকে হাওড়ার সত্যবালা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসন বা হাসপাতাল মুখে কুলুপ এঁটেছে। জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধক্ষ্য ওই ব্যক্তি গত ৬ মার্চ হজ করতে গিয়েছিলেন। ফিরেছিলেন ১৩ মার্চ। তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়েও সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে গত বুধবার সত্যবালা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট আসার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে কীভাবে দেখানো হবে তা নিয়ে ধন্দে পড়েন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, এরপর শুক্রবার রাত পর্যন্ত আইসোলেশনেই রেখে দেওয়া হয় মরদেহ। তারপর পুরসভার কর্মীরা এসে মরদেহ প্লাস্টিতে মুড়িয়ে রাতের অন্ধকারে আন্দুল রোডের কাছে একটি কবরখানায় কবর দিতে যায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চুপিসারে দেহটি কবর দেওয়া হচ্ছিল। তাঁরা বিষয়টি দেখে ফেলে প্রতিবাদ জানান। এইভাবে কেন মরদেহ কবর দেওয়া হচ্ছে বলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে তাঁদের লাঠিচার্জ করে হঠিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ধুলাগড়ের মল্লিকপোলের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির পরিবারের সাতজনকে সত্যবালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তড়িঘড়ি। তাঁরাও আইসোলেশনে আছেন বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আদৌ কি ওই ব্যক্তিকে করোনা সন্দেহে কবর দেওয়া হচ্ছিল কি না তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.