মাথায় হাত পড়ল তৃণমূল নেতৃত্বের। যেই আশা নিয়ে মিমিকে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল, মানুষ সেই আশায় জল ঢালতে চলেছে গতকাল মঙ্গলবার বাসন্তী হাইওয়ের ধারে নারায়ণপুর অঞ্চলে সভা করেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তৃণমূল যেখানে ভেবেছিল মিমির সভায় জনজোয়ার হবে, অন্তত মানুষ ভোট না দিলেও তারকাকে তো দেখতে আসবে! সেই আশায় জল ঢেলে দিলো এলাকার বাসসিন্দারা। একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মত অবস্থা হল মিমি চক্রবর্তীর।
মিমির ওই সভাকে সফল করার জন্য উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। কিন্তু সেই সভায় জনসমাগম দেখে তৃণমূল নেতৃত্বের মাঠ হাত পড়েছে। এখন তাঁরা বিশ্লেষণে বসেছে কেন এমন হল!
তবে তৃণমূলের থেকেও বেশি সমস্যায় ভুগছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। পস্রিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃণমূলের হয়ে এর আগে জোট টলিউডের অভিনেতা/অভিনেত্রীরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, অথবা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন। তাঁদের সবার ক্যারিয়ার শেষের মুখে।
মুনমুন সেন, শতাব্দী, সন্ধ্যা রায় ছাড়াও অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁদের ক্যারিয়ার শেষ। এখন মিমির চিন্তাও সেই একই রকম। শাসক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়াতে গিয়ে যদি তাঁর ক্যারিয়ারেও ইতি পড়ে যায়!
বছর দুয়েক আগেও ভাঙর ছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তবে সেটা এখন অতীত, ভাঙরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তৃণমূলকে শেষ করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।